খবর প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের দল বিএনপির কাছ থেকে গণতন্ত্রের কিছু শেখার নেই বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্র, ভোট ও মানবাধিকারের কথা শোনা দুর্ভাগ্যজনক।
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘শেখ রাসেল পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার সময় খুন করা হয় তার ১১ বছরের সন্তান শেখ রাসেলকেও। তার জন্মদিন ১৮ অক্টোবর পালিত হচ্ছে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায় জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আরোহন, তার আমলের জাতীয় নির্বাচন ও নানা ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, আজকে তো অনেক মানবাধিকারের কথা বলা হয়। একটা কেউ মারা গেলে বিচার চাওয়া হয়। আমরা কী অপরাধ করেছিলাম? ১৫ আগস্ট আমরা যারা অপনজন হারিয়েছি...আমাদের অপরাধটা কোথায় ছিল?’
জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আরোহন এবং তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, একজন সেনাপ্রধান হিসেবে সে (জিয়াউর রহমান) দায়িত্ব নিল। কখন? যখন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হলো এবং অবৈধভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেয়া হলো। তাদের (বিএনপি) মুখে আমাদের গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়, ভোটের কথা শুনতে হয়, মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়!'
‘অথচ এদের হাতেই তো বারবার, আমার ওপরেও কতবার আঘাত এসেছে! জানি না বেঁচে গেছি, আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন বোধহয় এদিনটি দেখার জন্য…যে নামগুলো মুছে ফেলা হয়েছিল ইতিহাস থেকে; আমার বাবার নাম, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল, যেখানে তার নামটাও নেয়া যেতো না এমন একটা পরিবেশ ছিল। সত্যকে মুছে ফেলার যে অপচেষ্টা, বিচারহীনতার যে কালচার তৈরি হয়েছিল, আজকে জাতি সেখান থেকে মুক্তি পেয়েছে।’
‘আমার অধিকার, আমার মানবাধিকার, আমার বাবা-মা হত্যার বিচার পাওয়া, ভাইয়ের হত্যার বিচার পাওয়া, এই অধিকার তো আমার ছিল। সেখান থেকে আমরা বঞ্চিত ছিলাম, রেহানা ছিল, আমরা তো বঞ্চিত ছিলাম। কিন্তু আমাদের সেটা সমাধান করতে হলো। বাংলাদেশে কি বিবেকবান কোনো মানুষ ছিল না?’
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারকাজ করতে যেসব বিচারক ‘বিব্রতবোধ’ করেছিলেন তাদের অনেকেই এখন ‘খুব বড় বড় দার্শনিক’ হয়ে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি কিছু বলি না। কারণ, আমার একটাই লক্ষ্য। এই দেশটা আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন একটা সুন্দর জীবন পায়, নিরাপদ জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়।’