খবর প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১২:৩০ পিএম
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ইরানের নৈতিকতা পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য এবং তৎক্ষণাৎ এর নিন্দা জানিয়েছে তেহরান।
সোমবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য জানায়, ইরানের নৈতিকতা পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি দেশটির পুলিশ কমান্ডার এবং ইসলামী রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাসিজ মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে।
জবাবে তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ইরান বলেছে, নতুন এই নিষেধাজ্ঞা ‘ভিত্তিহীন’। এ ছাড়া এই নিষেধাজ্ঞা আরোপকে ইরান তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে লন্ডনের হস্তক্ষেপ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র প্রতিবাদ করে।
ইরানের কঠোর পোশাক নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে সম্প্রতি ২৩ বছর বয়সী মাশা আমিনিকে (২২) গ্রেপ্তার করে নৈতিকতা পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে ওই তরুণীর মৃত্যুর পর থেকে দেশটিতে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। অন্যদিকে বিক্ষোভ দমনে চলছে পুলিশের ধরপাকড়, হুমকি-ধমকি ও মামলা।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাবে, মাশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হওয়া বিক্ষোভে নারীসহ এক শ জনের বেশি মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। বিক্ষোভকে ‘দাঙ্গা’ আখ্যা দিয়ে তেহরান বলছে, এখন পর্যন্ত কয়েক শ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে সাধারণ বিক্ষোভকারীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছে। ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আকবর হাশেমি রাফসানজানির মেয়ে ফায়জেহ হাশেমি তাদের অন্যতম। ৫৯ বছর বয়সী এই আইনজীবী ও নারী অধিকারকর্মীকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ। বিচার বিভাগীয় মুখপাত্র মাসুদ সেতায়েশি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ফায়েজেহের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী যোগসাজশ, শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে।
রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার অভিযোগে ফায়জেহ হাশেমির বন্দি হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১২ সালে একবার তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সূত্র : এএফপি।