NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

পাঁচ ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন অ্যাসিডিটি


খবর   প্রকাশিত:  ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:১৩ এএম

পাঁচ ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন অ্যাসিডিটি

অ্যাসিডিটির সমস্যা নেই এমন মানুষ খুব কমই আছে। নিয়মিত ওষুধ তো খান, তবুও অফিসে কিংবা কাজকর্মে যাওয়ার সময় সঙ্গে অ্যাসিডিটির ওষুধও নিয়ে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে অ্যাসিডিটির ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। এতে ফলও তেমন পাওয়া যায় না। তাই ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে খাবারের দিকে মনযোগ দিন। 

যে খাবার গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সাহায্য করে, সেগুলো খাবারের তালিকায় রাখুন। খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম না করা, পানি কম খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে। প্রথম দিকেই সচেতন না হলে পরবর্তী সময়ে আলসার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এবার জেনে নিন, কোন কোন খাবার দ্রুত অ্যাসিডিটি কমায়।

তুলসি
পাকস্থলীতে অতিরিক্ত মিউকাস উত্পাদনে সাহায্য করে তুলসি। এতে রয়েছে অ্যান্টিআলসার উপাদান, যা গ্যাসট্রিক অ্যাসিডের প্রকোপ কমায়। অ্যাসিডিটি হলে পাঁচ থেকে ছয়টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার হয়।

মৌরি
এতে রয়েছে অ্যান্টি-আলসার উপাদান। মৌরিতে কপার, আয়রন, পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে আছে। মৌরি হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। অ্যাসিড হলে কিছু পরিমাণ মৌরি খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি ফল পেতে পানিতে কিছু মৌরি ফেলে ফুটিয়ে রাতে রেখে দিতে হবে। পরের দিন অ্যাসিডিটির কারণে যখন অসুবিধা হবে, তখন তা পান করতে হবে।

ঠাণ্ডা দুধ
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা অ্যাসিড তৈরি হতে বাধা দেয় এবং অতিরিক্ত উত্পাদিত অ্যাসিড শোষণ করে নেয়। অ্যাসিডের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ঠাণ্ডা দুধ খেতে হবে। এবং চিনি মেশানো চলবে না। অ্যাসিডিটি রোধে আরো বেশি কার্যকরী ফল পেতে এক গ্লাস দুধ এক চামচ ঘি সহযোগে পান করতে হবে।

আদা
হজমশক্তি বাড়াতে আদা উপযোগী। মুখের লালা বা স্যালাইভা উৎপাদন করে আদা।মিউকাস নিঃসরণ বাড়িয়ে আলসার থেকেও পাকস্থলীকে রক্ষা করে। অ্যাসিড থেকে মুক্তি পেতে আদার ছোট ছোট টুকরো মুখে ফেলে খেতে হবে। এছাড়া পানিতে আদা ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে খেলেও ফল মেলে। এছাড়া আদা বেটে তালগুড়ের ছোট টুকরোর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে রেখে চুষে খেলেও ফল মেলে।

জিরা
জিরা মুখের লালা উৎপাদনে সাহায্য করে যা হজম ও বিপাকে সাহায্য করে। এরফলে গ্যাস ও গ্যাসট্রিক সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র মতে, পাকস্থলি কোনো কারণে উদ্দিপ্ত হলে তা শীতল করতে সাহায্য করে এটি। এ ছাড়া পেটের আলসার দূর করতেও কাজ করে জিরা। অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে হলে অল্প কিছু জিরা চিবিয়ে খান বা পানিতে ফেলে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে পান করতে হবে।