খবর প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৫:৪০ এএম
ঢাকা: যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশবাসীকে আরো খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এটি এখন আমাদের জন্য অনিবার্য এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশ্ব সম্প্রদায় আগামী বছরে একটি গভীর সংকটের আশঙ্কা করছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার প্রারম্ভিক বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক সফরের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করেছেন, বিশেষ করে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়, যেখানে সকলেই অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ২০২৩ সালে একটি গুরুতর দুর্ভিক্ষ হতে পারে। যখন অর্থনৈতিক মন্দা আরো গভীর হবে এবং খাদ্য সংকট দেখা দেবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সুতরাং আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেই সাথে খাদ্যকে প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের একটা সুবিধা আছে যে আমাদের জমি অনেক উর্বর এবং যেখানে বীজ বপন করা হয় সেখানে কিছু উৎপন্ন হয়’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও এটা বলতেন।
সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই বাণী অনুসরণ করে ব্যাপকভাবে খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগ দিতে হবে। শুধু তাই নয় খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও করতে হবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জনগণকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমরা কোনো অপ্রয়োজনীয় খরচ বাড়াব না, বরং আমরা বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি, গ্যাস ইত্যাদি ব্যবহারে আরো সাশ্রয়ী এবং সচেতন হব। তিনি দেশের প্রতিটি পরিবারকে তাদের সাধ্যমত সঞ্চয় করার অনুরোধ জানান।
জনগণ যতক্ষণ সঙ্গে আছে, আমাদের চিন্তার কিছু নেই মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, যেভাবে করোনা মোকবিলা করেছি, সেই একইভাবে যুদ্ধের সময় যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, যে ভয়াবহতা দেখা দিচ্ছে-এটা থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে।