NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

ধোঁয়া উড়িয়ে চলে যায় সিটি কর্পোরেশন, কমে না মশা


খবর   প্রকাশিত:  ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:১৪ এএম

>
ধোঁয়া উড়িয়ে চলে যায় সিটি কর্পোরেশন, কমে না মশা

‘প্রতিদিনই খবরে শুনি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের অভিযান। কোথায় এ অভিযান? মশকনিধন কর্মীদের দেখাই তো মেলে না। বর্তমান অবস্থা এমন হয়েছে যে প্রতি ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী। তাহলে সিটি কর্পোরেশনের মশকনিধন কার্যক্রম কি শুধু লোক দেখানো’— এমন প্রশ্ন রেখেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধীন যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন।

শুধু ফরহাদ হোসেন নন, এমন অভিযোগ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের অধীন বেশির ভাগ বাসিন্দার। তারা বলছেন, সিটি কর্পোরেশনের কোনো মশকনিধন কর্মীকে নিয়মিত দেখা যায় না। ফলে প্রতিটি এলাকায় যেমন মশা বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।

প্রতিদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নানা পদক্ষেপ নিয়ে মাঠে নামলেও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সিটি করপোরেশনের অভিযান
আমাদের আশপাশের সব এলাকায় বলতে গেলে ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখছি না। ডেঙ্গু ছাড়াও মশার উৎপাত রয়েছে দিন-রাত সবসময়। বাসায় ছোট বাচ্চা আছে। যে কারণে দিনের বেলাতেও মশারি টাঙিয়ে থাকতে হয়
বাচ্চু মিয়া, ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন দক্ষিণ কাজলার বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমাদের আশপাশের সব এলাকায় বলতে গেলে ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখছি না। ডেঙ্গু ছাড়াও মশার উৎপাত রয়েছে দিন-রাত সবসময়। বাসায় ছোট বাচ্চা আছে। যে কারণে দিনের বেলাতেও মশারি টাঙিয়ে থাকতে হয়।’

‘নানা জায়গায় আবর্জনা উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সেগুলোতে পানি জমছে আর সেই পানিতে মশা জন্ম নিচ্ছে। কিন্তু মশকনিধনে সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত কোনো কার্যক্রম আমাদের চোখে পড়ছে না। মাঝে এক বা দুইদিন অভিযানের নামে তারা আসে। ঘুরে ঘুরে জরিমানা করে চলে যায়। এরপর আর তাদের খোঁজ থাকে না।’
আমাদের এলাকার বাসিন্দারা বলতে পারবেন না যে কবে তারা মশকনিধন কর্মীদের কাজ করতে দেখেছেন। মাঝে মাঝে দুই-একদিন দেখা যায়। তারা এসে শুধু ধোঁয়া উড়িয়ে চলে যান। সিটি কর্পোরেশন যেসব অভিযানের কথা বলে, সেগুলো শুধুই লোক দেখানো। কাজের কাজ কিছুই হয় না। তারা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ
হাফিজুল ইসলাম, শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা

শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা হাফিজুল ইসলাম ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী। সিটি কর্পোরেশন মশক নিধনের নামে কী করে, তা আমরা বুঝতে পারি না। তাদের অভিযান শুধু মিডিয়াতে দেখা যায়।

সিটি করপোরেশনের অভিযান

 

‘আমাদের এলাকার বাসিন্দারা বলতে পারবেন না যে কবে তারা মশকনিধন কর্মীদের কাজ করতে দেখেছেন। মাঝে মাঝে দুই-একদিন দেখা যায়। তারা এসে শুধু ধোঁয়া উড়িয়ে চলে যান। সিটি কর্পোরেশন যেসব অভিযানের কথা বলে, সেগুলো শুধুই লোক দেখানো। কাজের কাজ কিছুই হয় না। তারা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।’