NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
Logo
logo

ইরানে বিক্ষোভের সঙ্গে নিকার মৃত্যুর সম্পর্ক অস্বীকার


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম

>
ইরানে বিক্ষোভের সঙ্গে নিকার মৃত্যুর সম্পর্ক অস্বীকার

ইরানে মোরাল পুলিশ হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ায় ১৬ বছর বয়সী নিকা শাহকরামিকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

তবে ইরানের বিচার বিভাগ দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিকার নিহত হবার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

তার খালা আতাশ শাহকরামি টুইটারে জানান, ২০ সেপ্টেম্বর তেহরানে একটি বিক্ষোভে যোগ দেয়ার পর নিকা নিখোঁজ হন। ১০ দিন পর পরিবারকে জানানো হয়, তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

তেহরানের মোরাল পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়া মাশা আমিনির মৃত্যুর কারণে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য দেশ তাদের সাথে সংহতি জানায়।

বিবিসি ফার্সি বিভাগ ও ইরান ওয়্যারসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম বলেছে, নিকা শাহকরামির পরিবারকে একটি মর্গে তার মরদেহ দেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লোরেস্তান প্রদেশের খোররামাবাদে তাদের নিজ শহরে তাকে দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

তার পরিবর্তে খোররামাবাদ থেকে কয়েক ডজন কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামে নিকার ১৭তম জন্মদিন ৩ অক্টোবরে তাকে গোপনে কবর দেওয়া হয়।

নিকা শাহকরামিকে তেহরানের বাইরে কাহরিজাক কারাগারে বন্দি করা হয়েছিল বলে সংবাদ রয়েছে, তবে ইরানি কর্তৃপক্ষ এ সংবাদ নিশ্চিত করেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিকার পরিবার যখন তার মরদেহ দেখে, তখন তার নাক ভাঙা ছিল এবং মাথার খুলি ফাটা ছিল।

সোমবার বিবিসি ফার্সি বিভাগ জানায়, এলাকার বেহেশত-ই-জাহরা কবরস্থানের একটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ‘কঠিন বস্তু দিয়ে’ একাধিকবার আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

কিন্তু বুধবার ইরানের বিচার বিভাগ শাহকরামির মৃত্যু ও মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে- এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

নরওয়ে ভিত্তিক অধিকার গোষ্ঠী ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) বলছে, বিক্ষোভে দমন-পীড়নে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত ৯০ জনেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ৭ জন ছিলেন নারী।