NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
Logo
logo

বিদ্যুৎ-সংকট মেটাতে পাইপলাইন চায় জার্মানি-স্পেন, বাধা ফ্রান্স


খবর   প্রকাশিত:  ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৮:২১ এএম

>
বিদ্যুৎ-সংকট মেটাতে পাইপলাইন চায় জার্মানি-স্পেন, বাধা ফ্রান্স

জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ এখন স্পেনে রয়েছেন। বিদ্যুৎ-সংকট মেটাতে পাইপলাইন প্রকল্প নিয়ে তিনি কথা বলেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু এই প্রকল্পের পথে মূল বাধা ফ্রান্স।

জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎজ এবং স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পোড্রো সানচেজ পাইপলাইন নিয়ে একমত, কিন্তু ফ্রান্স এখনও রাজি নয়। মূলত ইউরোপের বিদ্যুৎ-সংকট মেটাতে এই পাইপলাইন খুবই জরুরি বলে মনে করেন জার্মানি ও স্পেনের শীর্ষ এই দুই নেতা।

আসলে এই প্রস্তাবিত পাইপলাইন যাবে পিরানিজ পর্বতমালার পাশ দিয়ে। স্পেন থেকে ফ্রান্স হয়ে তা জার্মানিতে ঢুকবে। শলৎজ ও সানচেজের মধ্যে আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে এই পাইপলাইন প্রকল্প। দুই নেতাই এই পাইপলাইন তৈরির পক্ষে।

জয়েন্ট অ্যাকশন প্ল্যানে বলা হয়েছে, হাইড্রো-কার্বন রেডি গ্যাস পাইপলাইন তৈরি খুবই জরুরি। ইইউয়ের মধ্যে একটা এনার্জি মার্কেট তৈরি করতে গেলে এই পাইপলাইন দরকার। পিরানিজের পাশ দিয়ে যাওয়া এই পাইপলাইন ২০২৫ সালের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। এর ফলে ইইউয়ের কৌশলগত সার্বভৌমত্ব রক্ষিত হবে এবং গ্রিন এনার্জি পাওয়া যাবে।

পাইপলাইন নিয়ে কেন বিতর্ক?

জার্মানি এই পাইপলাইন তৈরির বিষয়ে খুবই আগ্রহী। জার্মানি এতদিন সবচেয়ে বেশি গ্য়াস পেত রাশিয়ার কাছ থেকে। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে পরিস্থিতি বদলে গেছে। রাশিয়ার গ্যাসের ওপর আর নির্ভর করতে পারছে না জার্মানি।

এই অবস্থায় মাদ্রিদ ও বার্লিন চায়, এই পাইপলাইন তৈরি করা হোক। কিন্তু এই পাইপলাইন যাওয়ার কথা ফ্রান্সের মধ্যে দিয়ে।

সানচেজ বলেছেন, পাইপলাইনের অভাবে স্পেন প্রাকৃতিক গ্যাসের পুরো ব্যবহার করতে পারছে না। ইউরোপের বাকি দেশগুলোকেও বিদ্যুৎ দিতে পারছে না।

অন্যদিকে এই পাইপলাইন নিয়ে ফ্রান্সের সরকার খুব একটা আগ্রহী নয়। এই প্রকল্প ২০১৩ সালে হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে তা বাতিল করা হয়। পরিবেশবিদদের আশঙ্কা এবং আর্থিক দিক থেকে লাভজনক না হওয়া; এই দুই কারণে তা বাতিল করা হয়।

গতমাসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ এই পাইপলাইন প্রকল্প নিয়ে তার বিরোধের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পিরানিজ দিয়ে দুইটি পাইপলাইন গেছে। সেগুলোরই পুরোপুরি ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই অবস্থায় তৃতীয় পাইপলাইনের প্রয়োজন নেই।