NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
Logo
logo

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ডা. রায়ান সাদী


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৯:১৯ এএম

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ডা. রায়ান সাদী

চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের তালিকায় জায়গা পেলেন বিশেষ একটি চিকিৎসা পদ্ধতির আবিষ্কার করা প্রতিষ্ঠান ‘টেভোজন বায়োর’ চেয়ারম্যান ও সিইও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি আমেরিকান ড. রায়ান সাদী।

‘নোবেল প্রাইজ ডট অর্গ’ ওয়েবসাইট চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার মনোনয়ন তালিকায় ৩৪৩টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেছে। এরমধ্যে ২৫১ জন ব্যক্তি এবং ৯২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

নোবেল কমিটি এই মনোনয়ন দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রায়ান সাদীর প্রতিষ্ঠান ‘টেভোজন বায়োর’ ওয়েবসাইট।

পাবনায় জন্ম নেয়া রায়ান সাদী ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি নেয়ার পর ১৯৯২ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাড়ি জমান। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা-বিজ্ঞানে লিডারশিপ এবং ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে হেলথ পলিসি এবং অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করেন।

এদিকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নের তালিকায় রায়ান সাদীর নাম আসার বিষয়টি নিজের ফেরিভায়েড ফেসবুক পেইজে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রায়ান সাদী ডা. দীপু মনির বন্ধু্। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজের- কে ৪০ ব্যাচের সহপাঠী।


ফেসবুকে পোস্টে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৪০ ব্যাচের বন্ধু রায়ান সাদী এমডি, এমপিএইচ এ বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। আমরা গর্বিত। সাদীর প্রতি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। সাদী ও তার পরিবারের প্রতি নিরন্তর শুভকামনা।

শান্তিতে নোবেলের বিষয়টি বরাবরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। এ বছরও এমনই কিছু ব্যক্তি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সংস্থার নাম আলোচনায় এসেছে। ৭ অক্টোবর অসলোতে দেয়া হবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার।


বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দা জানানো হতে পারে। এ কারণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধীদের কেউ এ পুরস্কার পেতে পারেন। বিশেষ করে ইউক্রেনে বেসামরিক লোকজনকে সাহায্যকারী স্বেচ্ছাসেবীরা এ পুরস্কার পেতে পারেন। এমনকি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও দেওয়া হতে পারে নোবেল। তিনি এ বছর তালিকার ওপরের দিকেই রয়েছেন।

এর বাইরে চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি প্রচারকারীদের কেউ। এ তালিকায় আছেন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের নামও। নরওয়ের নোবেল কমিটি চাইলে এ ক্ষেত্রে আরো নতুন কোনো চমক হাজির করতে পারে।


১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (তিন কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান।

১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। সে বছর পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ অ্যাকাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেয়া হয়।