NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
Logo
logo

ইরানের নৈতিক পুলিশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা


খবর   প্রকাশিত:  ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:৪৬ এএম

>
ইরানের নৈতিক পুলিশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ইরানের নৈতিকতা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানি নারীদের ওপর নির্যাতন ও দমন-পীড়নের অভিযোগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইরানের এই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজাব আইন লঙ্ঘনের অপরাধে পুলিশের হাতে আটক ২২ বছর বয়সী এক তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ইরানে। প্রতিবাদ-বিক্ষোভের বড় অংশজুড়ে রয়েছেন নারীরাই। আর এই বিক্ষোভের মধ্যেই ইরানের নৈতিকতা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ওয়াশিংটন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ইরানি নিরাপত্তা ও নৈতিক পুলিশের সাতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নারী, নাগরিক সমাজ এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের অধিকার লংঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মূলত ইরানের নৈতিক পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ রোস্তামি চেশমেহ গাচি এবং তেহরানে এই বাহিনীর পরিচালক হাজ আহমেদ মিরজেইকে লক্ষ্য করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ২২ বছর বয়সী ইরানি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদের পর মিরজেইকে অবশ্য সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

২২ বছর বয়সী আমিনিকে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার আগে তিন রাত ধরে তিনি তেহরানের একটি নৈতিক আটক কেন্দ্রে বন্দি ছিলেন এবং মাথায় হিজাব না পরার জন্য তার ওপর নিপীড়ন চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আরও যেসব ইরানি রয়েছেন তারা হচ্ছেন- ইরানের গোয়েন্দা বিভাগের মন্ত্রী ঈসমাইল খতিব, বাসিজ বাহিনীর উপ-অধিনায়ক সালার আবনুশ, আইন প্রয়োগ বাহিনীর উপ-অধিনায়ক কাসেম রেজাই, ওই বাহিনীর প্রাদেশিক বাহিনী মানুশের আমানুল্লাহি এবং ইরানি সেনার স্থলবাহিনীর কমান্ডার কিউমার্স হেইদারি।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই কর্মকর্তারা এমন সব সংগঠনের তদরকি করে যারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের এবং ইরানের সুশীল সমাজের সদস্যদের, রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের এবং ইরানের বাহা’ই সম্প্রদায়ের লোকজনকে দমন করতে নিয়মিত সহিংসতা চালিয়ে থাকে।’

এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে এই সকল ইরানি কর্মকর্তাদের সকল ধন-সম্পদ আটক করা হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশে তাদের সঙ্গে আর্থিক লেনেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।