NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
আফ্রিকায় জিম্মি করে মুক্তিপণ, মানবপাচার চক্রের মূল হোতা আটক পোপ ফ্রান্সিসকে শ্রদ্ধা জানাতে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় প্রধান উপদেষ্টা পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য আজ, ড. ইউনূসসহ ভ্যাটিকানে বিশ্বনেতারা কিয়েভে হামলা, পুতিনকে ‘থামতে’ বললেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা ভারতের ‘সাজানো নাটক’, দাবি পাকিস্তানের কাশ্মীর হামলায় সরব হলেন সোনাক্ষী সিনহা ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Logo
logo

চাকরি না পেয়ে হতাশ, ফেসবুক লাইভে একাডেমিক সনদপত্র ছিঁড়লেন যুবক


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০১:২৫ এএম

>
চাকরি না পেয়ে হতাশ, ফেসবুক লাইভে একাডেমিক সনদপত্র ছিঁড়লেন যুবক

ইচ্ছে ছিল চাকরি করে পরিবারের হাল ধরবেন, দায়িত্ব নেবেন বাবা-মায়ের, অভাবের সংসারে সচ্ছলতা আনবেন। তবে দীর্ঘ সময় চেষ্টার পরও চাকরি না পাওয়ায় হতাশায় একাডেমিক সব সনদপত্র ছিঁড়ে ফেলেছেন বাদশা মিয়া নামে নীলফামারীর এক যুবক। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে শিক্ষা জীবনে অর্জিত সব একাডেমিক সনদপত্র ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। 

বাদশা মিয়া ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের বাসিন্দা মহুবার রহমানের ছেলে। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবা। 

জানা গেছে, বাদশা পাঙ্গা চৌপতি আব্দুল মজিদ দাখিল মাদরাসা থেকে ২০০৭ সালে জিপিএ ৩.৯২ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে দাখিল, ২০০৯ সালে সোনাখুলি মুন্সিপাড়া কামিল মাদরাসা থেকে জিপিএ ৪.০৮ পেয়ে আলিম এবং ২০১৪ সালে নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তবে অর্থের অভাবে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারেননি তিনি। 

দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করেও চাকরি না পেয়ে বাদশা ফেসবুক লাইভে বলেন, আসলে আমার ভাগ্যটাই খারাপ। কত মানুষ ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়া করে খাচ্ছে। আর আমি এত সার্টিফিকেট নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও একটা সরকারি বা বেসরকারি চাকরি জোটাতে পারিনি। সনদপত্র অনুযায়ী চাকরির বয়স শেষ, এখন এগুলো রেখে লাভ কী? বয়স থাকতেই তো চাকরি জোটাতে পারিনি।

বাদশা আরও বলেন, আমার বাবা খেয়ে না খেয়ে আমাকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোট ভাই-বোনদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। বর্তমান সমাজে সবচেয়ে অসহায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত ছেলেরা। এরা না পারে চাকরি জোটাতে, আবার না পারে অর্থের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে।

বাদশার সেই ফেসবুক লাইভে তার পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই মন্তব্য করেছেন। রবিউল ইসলাম নামে এক যুবক  লিখেছেন, ভাই আপনিতো আমাদের অনেক কিছু বোঝান। ভালো ভালো পরামর্শ দেন। এখন এটা কী করলেন ভাই, মেনে নিতে পারছি না। কষ্ট পাইলাম ভাই। এমন সিদ্ধান্ত আপনার নেওয়া ঠিক হয়নি।

শাহিবুর ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে ইচ্ছাশক্তি থাকলে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানেই ভালো কিছু করা সম্ভব। হতাশাকে পাশ কাটিয়ে নতুন উদ্যমে নিজেকে তৈরি করুন, নতুন কিছুর জন্য।

মঞ্জুর-ই-এলাহী লিখেছেন, বাদশা ভাই আপনি আমার একজন ভালো শুভাকাঙ্ক্ষী। বেশ কবার দেখাও হয়েছিল আপনার সঙ্গে। নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ হতো এক সময়। ভিডিওটা দেখে বুকের ভেতর হাহাকার তৈরি হচ্ছে ভাই। বিশ্বাস করতে পারছি না এমন একটা হৃদয়বিদারক কাজ করে বসবেন।

বাদশার বাবা মহুবার রহমান বলেন, চাকরির বয়সসীমা শেষ হওয়ায় বেশ কিছু দিন থেকে হতাশায় ভুগছিল বাদশা। দিন দিন হতাশা বেড়ে যাওয়ায় সে তার একাডেমিক সার্টিফিকেটগুলো কাউকে না জানিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে।