NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে


খবর   প্রকাশিত:  ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:৩৯ এএম

>
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বে চলে গেছে এবং গত এক দশকে তা আরও জোরদার হয়েছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াদিল্লির হোটেল আইটিসি মৌরিয়াতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং যুদ্ধাহত ভারতীয় সৈনিকদের পরিবারের সন্তানদের ‘মুজিব স্কলারশিপ’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৫০ বছরে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব তৈরি করে উভয় দেশ ক্রমবর্ধমান বিস্তৃত খাতভিত্তিক সহযোগিতার জন্য কাজ করছে। সামুদ্রিক ও স্থল সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী জটিলতার সমাধান তারই সাক্ষ্য বহন করে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন বিশ্বব্যাপী প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।

আজকের অনুষ্ঠানে দশম শ্রেণি পর্যায়ে ১০০ জন এবং দ্বাদশ শ্রেণি পর্যায়ে ১০০ জন মিলিয়ে মোট ২০০ জনকে মুজিব স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের যেসব ভারতীয় ভাই জীবন উৎসর্গ করেছেন, রক্ত দিয়েছেন, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। জীবন উৎসর্গকারী সেই সব সাহসী বীরদের স্মরণ করা আমাদের জন্য গর্বের। সেসব সাহসী বীরদের অভিবাদন জানাই।

ভারত ও বাংলাদেশের তরুণদের নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বাড়িয়ে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মনে করি অতীতের নেতাদের মতো উভয় দেশের তরুণদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ করা প্রয়োজন এবং দুই দেশের মধ্যেকার ইতিহাসের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। কারণ, তারাই ভবিষ্যতের নেতা। সীমান্তের দুই পারের নেতাদের মধ্যে অবশ্যই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।
 
dhakapost

বীর যোদ্ধাদের বংশধররা তাদের পূর্বপুরুষদের মতো বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের দূত হিসেবে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে আশীর্বাদ করে সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করি, তারা আগামী ৫০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে বন্ধুত্বের মশালকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

২০২১ সাল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের একটি যুগান্তকারী বছর ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী ছিল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও সুবর্ণ জয়ন্তীর ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসব উপলক্ষ্য উদযাপনে বেশ কিছু যৌথ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যার মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধী এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ, বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী প্রভৃতি। এছাড়া ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষ্যণীয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে যৌথ প্রযোজনার নির্মাণাধীন বায়োপিক ‘মুজিব : দ্য মেকিং অব এ নেশন’ এর কাজ চলছে এবং শিগগিরই মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির দিনকে (৬ ডিসেম্বর) যৌথভাবে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই যৌথ উদযাপনের মাধ্যমে, বাংলাদেশ ও ভারত বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে পারস্পরিক আস্থা ও সম্মানের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ককে তুলে ধরেছে।