NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, জুন ৫, ২০২৫ | ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ড. ইউনূস ও ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক সংস্কার ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে: প্রেস সচিব গাজার অবস্থা নরকের চেয়েও খারাপ: রেড ক্রস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতিতে সংকটে পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় হামজার গোল, ফাহামিদুলের অভিষেক আর জয়ে রাঙানো সন্ধ্যা বিয়ে করলেন ক্যানসার আক্রান্ত অভিনেত্রী জলবিদ্যুৎ বাণিজ্যে ভুটানের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু টানা ১০ দিনের ছুটি গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষ দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন বিরোধী দলের প্রার্থী লি জে-মিয়ং
Logo
logo

লটারির ৪০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন প্রেমিকা, আদালতে মামলা


খবর   প্রকাশিত:  ০১ জুন, ২০২৫, ১০:০৬ পিএম

লটারির ৪০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন প্রেমিকা, আদালতে মামলা

লটারিতে জেতা ৪০ কোটিরও বেশি টাকা নিয়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন প্রেমিকা, এমন অভিযোগে সম্প্রতি কানাডার আদালতে একটি মামলা করেছেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, তার প্রেমিকা লটারিতে জেতা ৫০ লাখ কানাডীয় ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রায়) নিয়ে তাকে ধোঁকা দিয়ে চলে গেছেন। এ অভিযোগে ওই ব্যক্তি তার সাবেক প্রেমিকা, লটারি কর্তৃপক্ষ এবং প্রাদেশিক মদ ও লটারি করপোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

ম্যানিটোবার কোর্ট অব কিং’স বেঞ্চ-এ দায়ের করা মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, লরেন্স ক্যাম্পবেল নামে ওই ব্যক্তি ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি উইনিপেগ শহরের ক্যানকো কনভেনিয়েন্স স্টোর থেকে একটি লটারি টিকিট কেনেন। তখন তিনি ক্রিস্টাল অ্যান ম্যাককেই-এর সঙ্গে ‘বিশ্বাসযোগ্য ও প্রতিশ্রুতিশীল’ সম্পর্কে ছিলেন।

 

ক্যাম্পবেল অভিযোগ করেছেন, নিজের ওয়ালেট হারিয়ে যাওয়ায় তিনি টিকিটটি ম্যাককেইকে দিয়েছিলেন। পরে সেটি তার এক বন্ধুর বাড়ির মেঝেতে পাওয়া যায় এবং মোবাইল ফোনে স্ক্যান করে দেখা যায় এটি জ্যাকপট জিতেছে।

 

লটারি জেতার খবর জানার পর, দুজন মিলে একটি ভিডিও রেকর্ড করেন এবং টিকিট যাচাই করাতে যান। কিন্তু তখন লটারি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা নাকি ক্যাম্পবেলকে জানান, তার বৈধ সরকারি আইডি না থাকায় তিনি পুরস্কার দাবি করতে পারবেন না। ফলে ম্যাককেইকে টিকিটের মালিক হিসেবে উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যাককেই বলেন, টিকিটটি ছিল তার জন্মদিনের উপহার। যদিও ক্যাম্পবেল বলেন, টিকিটটি মূলত তিনি কিনেছিলেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, লটারি জেতার পর ম্যাককেই ৫০ লাখ ডলার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করেন এবং এরপর ক্যাম্পবেলের সঙ্গে থাকা হোটেল রুমে আর ফেরেননি। পরে ক্যাম্পবেল তাকে খুঁজে পান এক অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে এবং সেখান থেকেই তাদের সম্পর্কের ইতি ঘটে।

 

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ম্যাককেই এরপর ক্যাম্পবেলের ফোন ধরেননি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্লক করেন এবং তার বিরুদ্ধে একটি প্রোটেকশন অর্ডার জারি করান।

ক্যাম্পবেলের আইনজীবী চ্যাড প্যান্টিং এক ইমেইলে বলেন, এটি কেবল একটি প্রেমঘটিত প্রতারণা নয়, বরং প্রাদেশিক লটারি ব্যবস্থার ভুল দিক নির্দেশনার ফল।

এ মামলার কোনো অভিযোগ এখনো আদালতে প্রমাণিত হয়নি। ম্যাককেইর আইনজীবী কনর উইলিয়ামসন জানিয়েছেন, তার মক্কেল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং খুব শিগগিরই জবাবি বিবৃতি দাখিল করবেন।

 

এদিকে ক্যাম্পবেলের দাবি, লটারি কর্তৃপক্ষ তাকে যথাযথভাবে সতর্ক করেনি এবং তাকে ভুল পরামর্শ দিয়েছে।

 

 

 

ম্যানিটোবা লিকার ও লটারি করপোরেশন এবং ওয়েস্টার্ন কানাডা লটারি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।