NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, মে ২৪, ২০২৫ | ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Logo
logo

অবশেষে গাজায় ঢুকলো ত্রাণ, ২ দিনে অনাহারে আরও ২৯ মৃত্যু


খবর   প্রকাশিত:  ২৩ মে, ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম

অবশেষে গাজায় ঢুকলো ত্রাণ, ২ দিনে অনাহারে আরও ২৯ মৃত্যু

অবশেষে গাজার উদ্দেশ্যে পাঠানো ৯০ ট্রাক ত্রাণ জাতিসংঘের দলগুলোর কাছে হস্তান্তর করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। সীমিত পরিসরে অবরোধ তুলে নেওয়ার তিন দিন পর ত্রাণগুলো ছেড়ে দিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় বুধবার (২১ মে) দিনগত রাতে কেরেম শালোম ক্রসিং থেকে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো ওয়্যারহাউসে নেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত দুই দিনে অনাহারে আরও ২৯ জন মারা গেছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাজেদ আবু রমজান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে গাজার ২১ লাখ মানুষ চরম অনাহারের মুখে পড়বে, বাড়বে অনাহারে মৃত্যু। মৌলিক খাবারের ঘাটতি এবং আকাশছোঁয়া দামের কারণে পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠছে।

 

জাতিসংঘ সমর্থিত ইনটিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের এক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাসে ৫ লাখ মানুষ অনাহারের মুখে পড়তে পারে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজার জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার টন খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ৬ হাজার ট্রাক ত্রাণ প্রস্তুত করে রেখেছে তারা। এই পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করানো সম্ভব হলে উপত্যকার বাসিন্দাদের দুই মাসের খাবার নিশ্চিত হবে।

 

সংবাদমাধ্যমটির তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালেই বিভিন্ন বেকারিতে ত্রাণের আটা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত একমাত্র পথটিতে নিরাপত্তার অভাবে গাজাবাসীর কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে এত দেরি হলো।

মঙ্গলবার (২০ মে) পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ৯৩টি ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছিল বিবিসি, আল জাজিরাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এর মধ্যে ৯০ ট্রাক জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবীরা ইসরায়েলের কাছ থেকে বুঝে পেয়েছে। বাকি তিনটির ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

নেতানিয়াহু প্রশাসন বলছে, বুধবার এই ৯৩ ট্রাকের বাইরে আরও ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক কেরেম শালোম দিয়ে প্রবেশ করতে দিয়েছে তারা। জাতিসংঘ বলছে, গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ প্রয়োজন, তার তুলনায় এটি নগণ্য। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর উপত্যকাটিতে আগ্রাসন শুরুর আগে দৈনিক অন্তত ৫০০ ট্রাক করে ত্রাণ প্রবেশ করত। বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে, আগের চেয়ে অনেক বেশি ত্রাণ প্রয়োজন। তাই, ১০০ ট্রাক ত্রাণ আসলে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য বিষয় নয়।