খবর প্রকাশিত: ১৮ মে, ২০২৫, ০৯:০৫ এএম
গাজার বিভিন্ন স্থানে শেষরাতে চালানো ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩৬ জন ছিলেন আল-মাওয়াসি এলাকায়, যা গাজায় বাস্তুচ্যুতদের জন্য তথাকথিত ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
আল-জাজিরা আরবির বরাতে জানা গেছে, শনিবার (১৭ মে) শেষরাতে গাজা উপত্যকার উত্তরের জবালিয়া আল-বালাদ এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
মধ্য গাজার আজ-জাওয়ায়দা শহরে আরেকটি ইসরায়েলি হামলায় নয়জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশু রয়েছে বলেও জানা গেছে।
মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় মারা গেছেন আরও দুইজন, যাদের মধ্যে একজন শিশু। এছাড়া, উত্তর গাজার তাল আল-জাতার এলাকাতেও একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, তবে সেখানে হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
মেডিকেল সূত্র জানায়, মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে গাজার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ অংশে নিহতের সংখ্যা ৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
উত্তর জাবালিয়ায় একাধিক ইসরায়েলি হামলায় আরও অনেক নিহত ও আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েল একদিকে গাজায় নতুন এবং আরও বিস্তৃত স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, অন্যদিকে কাতারে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা আবারও শুরু করেছে।
বাগদাদে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে আরব নেতারা গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠাতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩ হাজার ২৭২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ২০ হাজার ৬৭৩ জন আহত হয়েছেন। গাজার সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া হাজার হাজার নিখোঁজ মানুষকে মৃত হিসেবে ধরে নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।