NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ ১৪ বছরের সূর্যবংশীর দানবীয় সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত জয় রাজস্থানের নির্বিঘ্নে ধর্ম পালনে ‘লাব্বাইক’ অ্যাপ বড় ভূমিকা রাখবে - প্রধান উপদেষ্টা ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের হাসিনাকে ‌‘চুপ’ রাখতে বলেন ড. ইউনূস, মোদী জানান পারবেন না নারী বিবেচনায় জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
Logo
logo

পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা


খবর   প্রকাশিত:  ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০৪ এএম

পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা

ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর উসকানিমূলক কনটেন্ট ছড়ানোর অভিযোগে ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসিকেও। সোমবার (২৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সরকারি সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়েছে, পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে ভারত। এসব চ্যানেলের সম্মিলিত সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

 

নিষিদ্ধ হওয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন, জিও নিউজ, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ, বোল নিউজ, রাফতার এবং সুনো নিউজের ইউটিউব চ্যানেল। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন সাংবাদিক ইর্শাদ ভাট্টি, আসমা শিরাজি, উমর চিমা এবং মুনিব ফারুকের চ্যানেলও।

 

এছাড়া দ্য পাকিস্তান রেফারেন্স, সামা স্পোর্টস, উজায়ের ক্রিকেট এবং রাজি নামার মতো হ্যান্ডেলগুলোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সরকারি সূত্রের দাবি, এই ইউটিউব চ্যানেলগুলো ভারত, ভারতীয় সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছিল এবং প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছিল।

বর্তমানে ভারত থেকে এই চ্যানেলগুলোতে প্রবেশ করতে গেলে ব্যবহারকারীরা একটি বিশেষ বার্তা দেখতে পাচ্ছেন। সেখানে লেখা, ‘এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই দেশে উপলভ্য নয়। কারণ জাতীয় নিরাপত্তা বা গণশৃঙ্খলা সম্পর্কিত সরকারি আদেশের ভিত্তিতে এটি সরানো হয়েছে। আরও বিস্তারিত জানতে গুগল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট দেখুন।’

 

এদিকে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকেও সতর্ক করেছে ভারত সরকার। বিবিসি একটি শিরোনামে লিখেছিল, ‘মারাত্মক কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তান ভারতীয়দের ভিসা স্থগিত করেছে’, যা দেখে অনেক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী মনে করেছেন যেন ‘ভারতই পর্যটকদের হত্যা করেছে’।

 

 

 

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহির্জগৎ প্রচার বিভাগের পক্ষ থেকে বিবিসির ভারত প্রধান জ্যাকি মার্টিনের কাছে ভারতের ‘তীব্র প্রতিক্রিয়া’ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে, বিবিসির পক্ষ থেকে সন্ত্রাসীদের ‘মিলিট্যান্ট’ বলে উল্লেখ করার প্রতিবাদে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে। সরকারি সূত্র জানায়, বিবিসির ভবিষ্যৎ প্রতিবেদনের ওপরও কড়া নজরদারি চলবে।