খবর প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম
প্রায় এক দশক আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছিল। মামলায় ৫০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের তালিকায় চিত্রনায়ক জায়েদ খান, উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় ও অভিনেতা সাজু খাদেমের নামও রয়েছে।
গত বছরের আগস্ট মাসে মামলার খবরটি প্রকাশ হলে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন অভিনেতা ও উপস্থাপক জয়। সেই দুঃসময়ে কোনো সহকর্মী তার পাশে দাঁড়ায়নি, বরং এড়িয়ে চলেছেন। অনেক কাজ থেকে বাদও পড়েছেন তিনি। সেই কথাই আজ নতুন করে জানালেন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে।
গতকাল অভিনেতা ইরেশ যাকেরকে একটি হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। খবরটি প্রকাশের পর শোবিজের অনেক তারকাই ইরেশের পাশে দাঁড়িয়ে সরব হয়েছেন। ইরশেকে হেনস্তার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন জয়ও। তিনি লিখেছেন, ‘অভিনেতা ইরেশ যাকের এর নামে মামলা দেওয়ায় সমস্ত শিল্পী সমাজের সাথে আমিও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আজ থেকে আট মাস আগে আমার বিরুদ্ধেও এরকম একটি হয়রানিমূলক মামলা হয়েছিল। একমাত্র আশফাক নিপুণ ছাড়া আর কাউকে পাশে পাইনি। বরং বাদ পড়েছি বিভিন্ন কাজ থেকে। আমেরিকায় শো করতে গিয়েও দু-একজন অতি উৎসাহী কলিগের কারণে মঞ্চে উঠাতো দূরের কথা আমাকে হোটেল থেকেও বের হতে দেয়নি। মামলার কারণে সামাজিকভাবে হেনস্তা হয়েছি। অনেক অতি উৎসাহী আত্মীয় আত্মীয়তা ভঙ্গ করেছে। অনেক কলিগ ফোনও ধরেনি। যোগাযোগ করেনি।’
মামলার বাদী এখন থানায় আটক জানিয়ে তিনি আরও লেখেন, ‘শুনেছি আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিল সেই বাদী এখন থানায় আটক আছে বিভিন্ন জনের নামে মামলা দিয়ে টাকা খাওয়ার অপরাধে। আমার বিরুদ্ধে পুলিশ সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে আমার কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি এবং আমাকে পুলিশ এবং রাষ্ট্র কোনো হয়রানি করেনি। বরং হয়রানি করিয়েছে আমার পরিচিত কাছের স্বজনরা এবং চিরকালের বন্ধুরা। যাক আমি কারও প্রতি দোষারোপ করছি না।
নাজিম জয় আরও লিখেছেন, ‘সকলকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমার নিজের ছোটখাটো ভুলের জন্য বারবার ক্ষমা চেয়েছি। বড় অপরাধী এবং অপরাধকে ছোট করে ফেলে এই ধরনের মামলা। যেখানে এমন একজন সেলিব্রেটির নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যে মামলার চেয়ে সেলিব্রেটিকে নিয়ে চর্চা হয় বেশি। তখন আসল অপরাধীরা মুচকি হাসে। মামলাটাকে হাস্যকর মনে করে। এতে বিচার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। আমরা চাই অপরাধীর বিচার হোক। যে যার জায়গা থেকে নতুন বাংলাদেশে ভুল সংশোধন করে নতুন করে বাঁচুক। সকলে সকলের প্রতি সহানুভূতিশীল হোক। ছবিটিতে আমার অটিস্টিক বেবি আযানের সাথে আমি। অনেকের চোখে আমি খারাপ মানুষ হলেও আমার সন্তানের কাছে আমি সেরা।’