খবর প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০৪ এএম
যুক্তরাষ্ট্রে অনেকেই বৈধ পথে আসার পর বৈধতা হারিয়েছেন। কেউ কেউ এক বছর, দুই বছর আবার কেউবা ২৭/২৮ বছর বা তার বেশি সময় ধরে এই দেশে অবৈধভাবেই আছেন। কেউ কেউ কোনো দিন আবেদনই করেননি কোনো স্ট্যাটাস পাওয়ার জন্য। আবার কেউ কেউ স্ট্যাটাস পাওয়ার জন্য আবেদন করেও পাননি। ফলে স্ট্যাটাস হারিয়েছেন। হয়ে গেছেন নথিপত্রহীন। এ ছাড়া কিছু মানুষ এসেছেন অবৈধ পথে। তারা কোনো দিন কোনো আবেদনই করেননি। ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস পাওয়ারও চিন্তা করেননি। সকল নথিপত্রহীন মানুষকে সরকার একটি ছাতার নিচে আনতে চাইছে। দেখতে চাইছে কত সংখ্যক বিদেশি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে নথিপত্রহীন অবস্থায় আছেন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়া আছেন। নথিপত্রহীন এসব ব্যক্তি নিবন্ধন না করলে ভবিষ্যতে তাদের ইমিগ্রেশন-সুবিধা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
একাধিক আইনজীবীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ ধরনের ব্যক্তিদের তারা পরামর্শ দেন তাকে ইমিগ্রেশন-সুবিধা পাওয়ার জন্য ফাইল করতে। ফাইল অনুমোদন হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। ডিনাই হলে আপিল করতে পারবেন বা অন্য কোনো আইনি সুযোগ থাকলে তাও নিতে পারবেন। কিন্তু কিছুই না করলে কিছু পাবেন না। তবে কেউ যদি মনে করেন এখন তিনি কিছুই করবেন না, তাহলে তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়, অন্তত এলিয়েন রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট আইন মেনে নিবন্ধন করতে। কারণ নিবন্ধন করলে অন্তত ভবিষ্যতে তিনি যদি কোনো ক্যাটাগরিতে আবেদন করার যোগ্য হন, তাহলে যাতে নিতে পারেন। অনেকেই বিয়ে করে বৈধ স্ট্যাটাস পেতে চান। এখন যারা অবৈধভাবে আছেন, তারা যদি এখন নিবন্ধন করে রাখেন, তাহলে আগামী দিনে অ্যাপ্লিকেশন করলে সুবিধা পেলেও পেতে পারেন। আর এখন নিবন্ধন না করলে তারা আগামী দিনে কোনো সুবিধা পাবেন না। যখনই ধরা পড়বেন, তখনই তাদেরকে আমেরিকা ছাড়তে হবে। কারণ এখনো মানুষকে নিবন্ধন করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। এমনও হতে পারে, যারা সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিবন্ধন করবেন, তারা আগামী দিনে এই দেশে কেবল সুবিধা পাবেন, অন্যরা পাবেন না। ফলে একে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই রকমভাবেই দেখার সুযোগ আছে। এক হতে পারে নিবন্ধন করার পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে সবাইকে আটক করে ডিপোর্ট করতে পারে। আর অবৈধ ঘোষণা করে দিতে পারে। কোনো সুবিধা পাবে না, সেটিও বলতে পারে। আরেকটি হতে পারে কেবল যারা নিবন্ধন করবেন, তারা সুবিধা পাবেন। অবৈধভাবে থাকা ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট না দেওয়া ব্যক্তিরা কোনো সুবিধাই পাবেন না। ফলে এখন অবৈধ ব্যক্তিরা কী করবেন, সেটি নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অথবা আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।