জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ই-পার্লামেন্টের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ওপর আয়োজিত কর্মশালায় উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তারা বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ এবং জনগণমুখী সংসদীয়ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটাইজেশনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ঢাকার একটি হোটেলে জাতীয় সংসদ সচিবালয়, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং সুইজারল্যান্ড দূতাবাস আয়োজিত কর্মশালায় আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি সংসদকে সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে হলে এটিকে স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং জবাবদিহিমূলক হতে হবে।
ই-পার্লামেন্টের উদ্যোগ জনগণের আস্থা পুনর্নির্মাণ এবং সংসদীয় মূল্যবোধ পুনরুদ্ধারের একটি ঐতিহাসিক সুযোগ, যা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত। কিন্তু এই উদ্যোগ সফল হওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকৃত জনপ্রতিনিধিদের সংসদে নিয়ে আসতে হবে।’
ই-পার্লামেন্টের উদ্দেশ্য তুলে ধরে অনুষ্ঠানে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, ‘এটি শুধু অবকাঠামোর বিষয় নয়, এটি প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধের সঙ্গে সম্পর্কিত। ডিজিটাইজেশন শুধু একটি বাহন, যার গন্তব্য একটি সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং ভবিষ্যতের জন্য সংসদ প্রস্তুত, যা গণতন্ত্রের আদর্শকে ধারণ করে।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে ইউএনডিপি দীর্ঘস্থায়ী সহযোগী হিসেবে সংসদ সচিবালয়কে সহযোগিতা করতে পেরে গর্বিত।’
সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (ভারপ্রাপ্ত) কোরিন হেনচোজ পিগনানি বলেন, সংসদীয় কার্যক্রমকে আরো জনগণমুখী করে তোলাই নাগরিকদের সেবা দেওয়ার সর্বোত্তম উপায়। এ ধরনের উদ্যোগ জনগণের সঙ্গে সংসদের সংযোগকে আরো টেকসই করবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন সংসদ সচিবালয়ের সচিব মো. মিজানুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব এ কে এম বেনজামিন রিয়াজী এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক।