NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

রিয়েল এস্টেট প্রতারণা : কুইন্সের সংঘবদ্ধ চক্রের গ্রেফতার-১


খবর   প্রকাশিত:  ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম

রিয়েল এস্টেট প্রতারণা : কুইন্সের সংঘবদ্ধ চক্রের গ্রেফতার-১




সহজ-সরল প্রবাসীদের সাথে প্রতারণার ফাঁদ হিসেবে ইউএস সিনেটর, কংগ্রেসম্যান, স্টেট গভর্ণর, সিটি মেয়রসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে ছবিতে পোজ অথবা সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী সংগঠনের সমাবেশে নগদ অর্থের বিনিময়ে অতিথির আসন ক্রয়ের ঘটনা হরদম ঘটছে বাংলাদেশী কম্যনিটিতে। অবাক বিস্ময়ে প্রতারণার শিকাররা হয় আদালত নয়তো সামাজিক দেন-দরবারের পথ খুঁজছেন। ভিকটিমের অধিকাংশই নারী। বাড়ি ক্রয় অথবা ব্যবসা-বাণিজ্যে আগ্রহীদের নানা প্রলোভনে ঘনিষ্ঠ করে নগদ অর্থ বিনিয়োগের মধ্যদিয়ে মাসিক ২৫% হারে লাভ প্রদানের অঙ্গিকারের পরই শুরু হয় প্রতারণার আসল মতলব। ৫০ হাজার ডলারের বিপরীতে মাসে ৫ হাজার ডলার লাভ দেয়ার লিখিত অঙ্গিকারের পর সেটি কথিত নোটারি পাবলিক কর্তৃক সত্যায়িত করাও হচ্ছে। শুরুতে দুই-তিন মাস ৫ হাজার ডলার করে প্রদানের পরই টালবাহানা করা হচ্ছে। এক পর্যায়ে ধার দেয়া অথবা ব্যবসায় বিনিয়োগ ঘটানো ব্যক্তিকে জানানো হয় যে, সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে ক্রমান্বয়ে লোকসান গুণতে হচ্ছে। আপাতত: কোন লাভ দেয়া সম্ভব হবে না। এভাবেই মাসের পর মাস ঝুলে থাকতে হচ্ছে মূল অর্থ ফেরৎ পেতে।

গুরুত¦পূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে ছবিতে পোজ দেয়া অথবা অনুষ্ঠানাদিতে অতিথির আসন অলঙ্কৃত করা ব্যক্তিবর্গের কেউ কেউ সংঘবদ্ধ একটি দুর্বৃত্ত চক্রের সাথেও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এরা বাড়ি ক্রয়ে সহযোগিতার সময় (ব্রোকার হিসেবে) ক্লায়েন্টের যাবতীয় তথ্য পায়। এরপর শুরু হয় ঐসব তথ্যে জালিয়াতির ঘটনা। এমনকি স্বাক্ষর জাল করে বাড়ি-ঘর জবর-দখলেও এরা সিদ্ধহস্ত। এমনি একাধিক অভিযোগে কুইন্স কোর্টে মামলা চলছে। সংঘবদ্ধ চক্রের জালিয়াতি এবং ঐ দুর্বৃত্ত চক্রের লেলিয়ে দেয়া একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। কুইন্স ডিিিস্ট্রক্ট এটর্নী অফিস জানায় যে, তার নাম নিশু চৌধুরী। তাকে জামিনে মুক্তি প্রদানের পর জুনের ৫ তারিখ কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। অবশিষ্টদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে। এই চক্রের সদস্যদের মুশোখও শীঘ্রই উম্মোচিত হবে বলে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা জাহিদ খান এ সংবাদদাতাকে জানান।

জাহিদ বলেন, দুর্বৃত্তরা কম্যুনিটির প্রায় সকল অনুষ্ঠানেই মঞ্চে উঠেন অতিথি/স্পন্সর হিসেবে। প্রতারণার মাধ্যমে সংগৃহিত অর্থের একটি অংশে তারা অতিথি হোন এবং আরো অনেককে ফাঁদে ফেলার পথ খুুঁজেন। এই চক্রের সদস্যদের মধ্যে একজন ভারতীয় পাসপোর্টধারীও আছেন বলে অনুসন্ধানে উদঘাটিত হয়েছে। এই ব্যক্তি নিজেকে একটি গ্রুপ অব কর্পোরেশনের সিইও হিসেবেও পরিচিতি দিয়ে আসছেন। যদিও ঐসব কর্পোরেশনের কোন হদিস পাওয়া যায় না। কুইন্সের চিহ্নিত একটি মহলের মদদে রিয়েল এস্টেট প্রতারণা, মর্টগেজ জালিয়াতি, ক্রেডিট কার্ড নিয়ে প্রতারণা, নারীর টোপে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেয়া, ব্যবসা-বাণিজ্যে পার্টনারের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়া, এবং পুলিশ-প্রশাসনের সাথে সম্পর্ক থাকার ভয় দেখিয়ে ক্রমান্বয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চক্রটি। জাহিদ খানের দু:খ, আমি নিজে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা হয়েও সেই এসোসিয়েশনকে এহেন পরিস্থিতি মোকাবেলায় পাশে পাচ্ছি না। স্মরণ করা যেতে পারে, কুইন্স অঞ্চলে মাস্তানী-সন্ত্রাসী-অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবিকারি একটি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতারের পরও অন্য দুর্বৃত্তরা অবাধে চালাচ্ছে প্রতারণা আর ধাপ্পাবাজি।