খবর প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম
দিল্লির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মুস্তাফাবাদের দয়ালপুর এলাকায় একটি চারতলা আবাসিক ভবন ধসে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আটজনই একই পরিবারের সদস্য। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে।
শনিবার ভোররাতে ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় আরও ১১ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছিলেন। তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাত ৩টার কিছু আগে ভবনটি ধসে পড়ে বলে জানা গেছে। প্রায় ১২ ঘণ্টাব্যাপী চলে উদ্ধার তৎপরতা।
দিল্লি পৌরসংস্থা (এমসিডি) জানিয়েছে, ভবনটি অনুমোদনহীন এবং প্রায় ২০ বছরের পুরোনো ছিল।
ভবনের মালিক ৬০ বছর বয়সী তাহসিন ও তার পরিবারের ৭ সদস্য—ছেলে নজিম (৩০), পুত্রবধূ সাহিনা (২৮), নাতি আনাস (৬), নাতনি আফরিন (৪) ও আফান (২), ছোট পুত্রবধূ চাঁদনী (২৩) এবং আত্মীয় ইশাক (৭৫)—নিহতদের মধ্যে রয়েছেন।
তাহসিনের স্ত্রী জিনাত (৫৮) ও ছোট ছেলে চাঁদ (২৫) আহত হয়েছেন। জানা গেছে, তাহসিনের বড় ছেলে আস মোহাম্মদ ২০২০ সালের দাঙ্গায় নিহত হন।
নিহত বাকি তিনজন হলেন দুই ভাই দানিশ (২৩) ও নাভেদ (১৭), এবং রেশমা (৩৮)।
দিল্লি দমকল বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা রাজেন্দ্র অতওয়াল জানান, ভোর ২টা ৫০ মিনিটে দমকল বিভাগকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে অন্তত ১০টি দমকল ইঞ্জিন পাঠানো হয়। জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), দমকল বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থা উদ্ধার কাজ চালায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ভবনের নিচতলায় দোকান নির্মাণের কাজ চলছিল। শুক্রবার রাতে শহরে ধুলিঝড়ের পর ভবনটি ধসে পড়ে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত ঘটনাটিকে ‘মর্মান্তিক’ আখ্যা দিয়ে এক্সে দেওয়া পোস্টে জানিয়েছেন, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দুই লাখ রুপি এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি করে অনুদান ঘোষণা করেছেন।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস