খবর প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমসে প্রশাসনিক জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে ৮০০ মার্কিন ডলার বা তার বেশি দামের পণ্য পরিবহন স্থগিত করেছে ডিএইচএল এক্সপ্রেস।
জার্মানিভিত্তিক এই ডেলিভারি জায়ান্ট সোমবার (২১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানায়, বিশ্বের যেকোনো দেশের কোম্পানির কাছ থেকে মার্কিন ভোক্তাদের কাছে ৮০০ ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য পাঠানো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে ব্যবসা-থেকে-ব্যবসার (বি-টু-বি) চালান অব্যাহত থাকবে, অবশ্য তাতেও বিলম্বের আশঙ্কা রয়েছে।
আগে ২ হাজার ৫০০ ডলার পর্যন্ত মূল্যের প্যাকেট যুক্তরাষ্ট্রে স্বল্প কাগজপত্রে প্রবেশ করতে পারতো। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক কার্যকরের সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমসের কড়াকড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই সীমা কমিয়ে ৮০০ ডলারে আনা হয়েছে।
ডিএইচএল জানায়, এই পরিবর্তনের ফলে প্রচুর পরিমাণে ‘ফরমাল কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স’ প্রয়োজন হচ্ছে। দিনরাত কাজ করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। কোম্পানিটি আরও জানায়, যেকোনো দেশ থেকে পাঠানো ৮০০ ডলারের বেশি মূল্যের চালান দীর্ঘদিন বিলম্বিত হতে পারে।
তবে ৮০০ ডলারের নিচের পণ্যগুলো এখনো যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো যাবে এবং সেগুলো কাস্টমসে বিশেষ জটিলতার মুখে পড়বে না।
এদিকে, হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ২ মে থেকে চীন ও হংকং থেকে আসা কম মূল্যের চালানের ওপরও কঠোরতা আরোপ করা হবে। সে সময় ‘ডি মিনিমিস’ নামে একটি আইনি ফাঁক বন্ধ করে দেওয়া হবে, যা এতদিন পর্যন্ত শুল্ক না দিয়েই কমমূল্যের পণ্য প্রবেশের সুযোগ দিতো।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, চীনের বহু রপ্তানিকারক অবৈধ পদার্থ লুকিয়ে ও চালানের প্রকৃত বিষয়বস্তু গোপন করে প্রতারণামূলক উপায়ে পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে।
এক নির্বাহী আদেশে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, নতুন পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ‘সিনথেটিক ওপিওয়েড সরবরাহ চেইনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া’, যাকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপিওয়েড সংকটের একটি বড় উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বেইজিং পাল্টা মন্তব্য করে জানিয়েছে, ফেন্টানাইল-সংশ্লিষ্ট সমস্যা ‘যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ এবং চীনে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর মাদকনীতি।
সূত্র: বিবিসি