গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পাকিস্তানজুড়ে কেএফসির বিভিন্ন শাখায় সহিংস হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির সরকার। এসব হামলায় কেএফসির এক কর্মী নিহতও হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি সম্প্রতি বিক্ষোভ ও বয়কটের মুখে পড়েছে, যাকে ইসরায়েলপন্থী বলে অভিযুক্ত করছে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো।
চলতি মাসজুড়ে বিক্ষোভকারীরা কেএফসির সামনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও কর্মীদের হুমকি দিয়েছে।
কেএফসিকে ‘আক্রমণের শিকার’ হিসেবে বর্ণনা করে পাকিস্তানের উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তালাল চৌধুরী এদিন বলেন, ‘সারা দেশে কেএফসির ওপর ২০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার একটিতে প্রাণহানি হয়েছে। নিহত ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মী।’
নিহতের ঘটনা ঘটেছে গত রবিবার।
সেদিন পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোর শহরের উপকণ্ঠে কেএফসির একটি শাখায় এক কর্মচারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তবে ওই গুলির পেছনে ঠিক কী উদ্দেশ্য ছিল, বা সেটি সাম্প্রতিক বিক্ষোভের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তালাল চৌধুরী জানান, পাঞ্জাব প্রদেশে ১৪৫ জন ও রাজধানী ইসলামাবাদে আরো ১৫ জনকে এসব হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘এই রেস্তোরাঁগুলো স্থানীয়ভাবে পণ্য সংগ্রহ করে, স্থানীয় মানুষজনকে চাকরি দেয় এবং আয়ের অর্থ দেশের মধ্যেই থেকে যায়।
’
এদিকে এ বিষয়ে কেএফসি বা তাদের মূল কম্পানি ‘ইয়াম! ব্র্যান্ডস’ কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, এর আগেও গত বছরের মার্চে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে কেএফসির একটি রেস্তোরাঁতে আগুন দেওয়া হয়েছিল। সে সময় বিক্ষোভকারীরা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দিচ্ছিল।