NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

গোলরক্ষকের ভুলে জয়বঞ্চিত ম্যানইউ


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম

গোলরক্ষকের ভুলে জয়বঞ্চিত ম্যানইউ

৯৫ মিনিট পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে। আর কয়েক সেকেন্ড পরই হয়তো শেষ বাঁশি বাজাতেন রেফারি। এমন সময় দ্বিতীয়বারের মতো বড় ভুল করে বসলেন ম্যানইউর গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। সেই ভুলের মাসুল দিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জয়বঞ্চিত থেকেই ফিরতে হয়েছে ম্যানইউকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যানইউর বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ২-২ গোলে ড্র করেছে ফরাসি ক্লাব লিঁও।

 

ম্যানইউ গোলরক্ষক ওনানা পুরো ম্যাচেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন। ম্যাচ-পূর্ববর্তী লিওঁ মিডফিল্ডার নেমানজা মাতিচের সঙ্গে বাকযুদ্ধের পর তার দিকে দৃষ্টি যায় সবার। উত্তেজনাকর বাক্য বিনিময়ে মাতিচকে ওনানা বলেছিলেন, ম্যানইউ লিঁওর তুলনায় অনেক ভালো দল। পাল্টা জবাবে মাতিচ ওনানাকে ক্লাবটির ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ গোলরক্ষকদের একজন হিসেবে আখ্যা দেন।

এরপর ওনানাকে প্রতিবার বল স্পর্শ করার সময়ই স্বাগতিক লিঁওর সমর্থকরা দুয়ো দেন। এতে বাড়তি চাপ অনুভব করতে থাকেন ওনানা। ২৫ মিনিটে ক্যারেরুনের এ গোলরক্ষকের ভুলেই থিয়াগো আলমাদার গোলের মাধ্যমে প্রথম লিড নেয় লিঁও। আলমাদার ফ্রি কিক সরাসরি জালে ঢুকে পড়লে ওনানার ভুল আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

 

১-০ গোলে পিছিয়ে পড়লেও হাল ছাড়েনি ম্যানইউ। প্রথমার্ধের ঠিক শেষ মুহূর্তে (৪৫+৫ মিনিট) লেনি ইয়োরো ম্যানইউকে সমতায় ফেরান। এই গ্রীষ্মে যোগ দেওয়ার পর এটি ছিল ম্যানইউর জার্সিতে তরুণ সেন্টার-ব্যাকের প্রথম গোল। মানুয়েল উগার্তের শট হেড করে জালে পাঠান ইয়োরো এবং ক্লাবের ইতিহাসে ইউরোপে গোল করা সবচেয়ে কনিষ্ঠ ডিফেন্ডারে পরিণত হন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যানইউ কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে। লিঁও একাধিক বড় সুযোগ নষ্ট করে। এরপর ৮৮ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেসের পাস থেকে জসুয়া জির্কজি গোল করে ম্যানইউকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন। ম্যানইউ শিবিরে শুরু হয় উদযাপন। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে সফরকারীদের সেই আনন্দ হতাশায় পরিণত হয়।

৯৫ মিনিটে রায়ান চেরকি ম্যানইউর স্বপ্ন চুরমার করে দেন। জর্জ মিকাউতাদজের শট ঠেকাতে গিয়ে বল সরাসরি চেরকির পায়ে ফেলে দেন ওনানা। সুযোগ পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি চেরকি।

 

 

 

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খারাপ পারফরম্যান্স করলেও ইউরোপা লিগে ম্যাইউ ছিল ভালো অবস্থানে। রুবেন আমোরিমের দল এই প্রতিযোগিতায় এখনো অপরাজিত।