NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ফ্ল্যাট নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচারের অভিযোগ


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৭ এএম

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ফ্ল্যাট নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচারের অভিযোগ

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক ৬ লাখ পাউন্ড মূল্যের বাংলাদেশি ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল শনিবার (৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশে নিজের নামে থাকা ফ্ল্যাট তিনি তার বোনের বলে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। 

কারণ ডেইলি মেইল গত সপ্তাহে ঢাকা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পেরেছে যে তার প্রকৃত মালিক এখনো টিউলিপ। তবে ৪২ বছর বয়সী সিদ্দিক যেকোনো ধরনের অন্যায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

 

 

তিনি ডেইলি মেইলকে জানিয়েছেন, ২০০২ সালে ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা তাকে উপহার দেন এবং ২০১৫ সালের মে মাসে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা ‘আইনগত ও বৈধভাবে’ তার বোন আজমিনার (৩৪) নামে হস্তান্তর করেন।

তবে দুর্নীতিবিরোধী কমিশনের (দুদক) অনুরোধে ছয় লাখ পাউন্ড সমমূল্যের ফ্ল্যাটটি বাংলাদেশ সরকার জব্দ করেছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে।

যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট মিনস্টার রেজিস্টারে এমপিদের সম্পর্কে যে তথ্য আছে সে অনুযায়ী, ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত এই সম্পদটি পরিবারের সদস্যের সঙ্গে টিউলিপের যৌথ মালিকানাধীন ছিল।

পরের মাসে তিনি এটি হস্তান্তর করে দেন। তবে ডেইলি মেইল গত সপ্তাহে ঢাকা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে, টিউলিপ সিদ্দিক এখনো ফ্ল্যাটটির মালিক। যেমনটা বাংলাদেশের দুদক দাবি করছে। এখন বাংলাদেশের আদালত সিদ্ধান্ত নেবে ফ্ল্যাটটির মালিক কে।

 

গত মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন জানায় যে ২০১৫ সালে ফ্ল্যাটটি আজমিনার নামে হস্তান্তর করার জন্য টিউলিপ ‘হেবা’ নামক একটি ইসলামিক দলিল ব্যবহার করেন, যা একজন ব্যক্তি ভালোবাসা বা স্নেহের কারণে নিজের সম্পদ অন্যকে হস্তান্তর করতে ব্যবহার করে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশি আইনে ফ্ল্যাট হস্তান্তর তখনই বৈধ হিসেবে গণ্য হয় যখন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মালিকানা পরিবর্তনের নথিভুক্তি সম্পন্ন হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশন দাবি করেছে, হেবা দলিলটি ছিল ‘জাল’, কারণ যে ব্যারিস্টার এটি সত্যায়িত করেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে, তিনি এতে নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, তার স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে।

তবে টিউলিপের আইনজীবীরা বলছেন, হেবা যথাযথভাবে সম্পাদিত হয়েছে এবং ফ্ল্যাটটি ‘একজন পরিবারের সদস্যের সঙ্গে যৌথ মালিকানায়’ ছিল, কারণ এর সমস্ত ভাড়ার অর্থ তার বোন আজমিনা পেতেন।

 

গত শুক্রবার রাতে টিউলিপের আইনজীবী পল থোয়েট বলেন, একজন বাংলাদেশি আইন বিশেষজ্ঞ তাকে জানিয়েছেন যে হেবা দলিলটি মালিকানা হস্তান্তরের জন্য যথেষ্ট।

তিনি বলেন, সংসদে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগটি ‘অযৌক্তিক’।