NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, মে ১৭, ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক স্থাপন এখন সময়ের দাবি: প্রধান উপদেষ্টা ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা ঠেকিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র -ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বড় সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই আরও গভীর তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক রোনালদোকে ছাড়া খেলতে নেমে এবার বড় ধাক্কা আল নাসরের ফিরছে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতা অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরও বড় পরিবর্তন সহজ হচ্ছে না এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’ স্বাগত জানাতে মেলোনিকে দেখে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুই ঘণ্টাতেই শেষ রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা, মেলেনি সমাধান
Logo
logo

বিশ্বজুড়ে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি চললেও উৎসবের আমেজ নেই গাজায়


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৫ এএম

বিশ্বজুড়ে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি চললেও উৎসবের আমেজ নেই গাজায়

বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল ফিতরের উৎসবের প্রস্তুতি নিলেও ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এবার ঈদের কোনো আমেজ নেই। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ও মানবিক সংকটের মধ্যে গাজাবাসী ঈদ পালন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে। এখন পর্যন্ত দখলদার দেশটির আগ্রাসনে কমপক্ষে ৫০ হাজার ২৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জন আহত হয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসও তাদের মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি আপডেট করেছে। তাছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ঈদের কেনাকাটা বা নতুন জামা-কাপড় কেনার মতো সামর্থ্য তাদের নেই। আর অনেক পরিবার তো শুধু ত্রাণের উপর নির্ভরশীল। রাফাহ, খান ইউনিস ও গাজা সিটির বাজারগুলোতে ঈদের কোনো বিশেষ প্রস্তুতিও দেখা যায়নি।

স্থানীয় শিক্ষক মোহাম্মদ আল-হাওয়া বলেন, গত ঈদে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ করতাম। এবার ঈদের দিন কোথায় থাকবো, কী খাবো- তা নিয়েই চিন্তা।

 

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন গাজায় জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহের আহ্বান জানালেও ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মিসর সীমান্ত দিয়ে কিছু ত্রাণ পাঠানো হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অনেক মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। স্থানীয় ধর্মীয় নেতারা জানিয়েছেন, ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও তা হবে সীমিত আকারে। গাজাবাসী এবার ঈদের নামাজ পড়বেন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বা উন্মুক্ত স্থানে।

 

যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে গাজাবাসীর জন্য ঈদ আনন্দের বদলে বয়ে এনেছে শোক ও দুঃখ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের আকুল আবেদন- এই ঈদে যেন তারা শান্তি ও নিরাপত্তা পায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুসলিমরা যখন ঈদের খুশি উদযাপন করবেন, তখন গাজাবাসীর ঈদ কাটবে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে, অনাহার ও শোকের মধ্য দিয়ে।