NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ১৮, ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক স্থাপন এখন সময়ের দাবি: প্রধান উপদেষ্টা ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা ঠেকিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র -ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বড় সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই আরও গভীর তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক রোনালদোকে ছাড়া খেলতে নেমে এবার বড় ধাক্কা আল নাসরের ফিরছে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতা অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরও বড় পরিবর্তন সহজ হচ্ছে না এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’ স্বাগত জানাতে মেলোনিকে দেখে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুই ঘণ্টাতেই শেষ রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা, মেলেনি সমাধান
Logo
logo

গাজায় ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্পের দূত


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম

গাজায় ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্পের দূত

গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস প্রথম বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে। তাদের প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট দিনের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছে, উইটকফ ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছেন।

এক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউজের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি কয়েক সপ্তাহ বাড়ানোর জন্য একটি পরিমার্জিত মার্কিন প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, এই ধাপে হামাস বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করা হবে।

বিজ্ঞাপন

জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত রূপরেখার অংশ হিসেবে হামাস পাঁচ জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে ও ৯ মৃত জিম্মির দেহ হস্তান্তর করবে। বিনিময়ে ইসরায়েল ১ মার্চ থেকে শুরু করে ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতি মঞ্জুর করবে। এই ৫০ দিনের যুদ্ধবিরতি ২০ এপ্রিল শেষ হবে ও এই সময়েই যুদ্ধবিরতি চুক্তির ধারাবাহিকতা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

পরিমার্জিত এই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতি মেয়াদ বাড়ানোর সময় গাজায় একটি দীর্ঘমেয়াদি অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাবে। যদি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হয়, তাহলে বর্ধিত যুদ্ধবিরতির শেষ দিনে বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে, যা দীর্ঘমেয়াদি অস্ত্রবিরতির আগে ঘটবে।

 

উইটকফ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে দোহায় পৌঁছান এবং কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের পাশাপাশি দোহায় অবস্থানরত ইসরায়েলি আলোচকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং মিশর, জর্ডান ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করেন।

বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের একজন ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মিসরের গাজা-পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে উইটকফ দোহায় কোনো হামাস কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেননি।

আলোচনার বিষয়ে অবগত একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল এরই মধ্যে উইটকফকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছে, কাতারের ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীরা বুধবার রাতে দোহায় হামাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পরিমার্জিত প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেছেন।

 

তিনটি সূত্র জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা এখন হামাসের জবাবের জন্য অপেক্ষা করছেন। সূত্র জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে আগে একই ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল, তবে তারাও রমজান মাসে আবার যুদ্ধ শুরু হওয়া এড়াতে চায়।

 

এর আগে, গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি কার্যকর হওয়া প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি ১ মার্চ শেষ হয়েছে। এরপর যুদ্ধ পুনরায় শুরু না হলেও, ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

সূত্র: এক্সিওস, জেরুসালেম পোস্ট