NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, জুন ১৪, ২০২৫ | ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা বাঙ্কারে থেকে ইরানের হামলার জবাব নিয়ে আলোচনা নেতানিয়াহুর বুবলীর কর্মকাণ্ড দেখে অপুকে সান্ত্বনা দেন শাকিব! রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব তারেক রহমানের করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫ ভারতে প্লেন দুর্ঘটনা চিকিৎসক দম্পতি ও তিন শিশুর করুণ বিদায়ে কাঁদছে সবাই ইরানকে ‘এখনই’ চুক্তি করতে বললেন ট্রাম্প, নাহলে ‘আরও বড় হামলা’র হুমকি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি থামাতেই ইসরায়েলের এই হামলা লর্ডসে ইতিহাস গড়লেন কামিন্স পাকিস্তানি শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয়, দিলজিতের ‘সর্দার ৩’ বয়কটের ডাক
Logo
logo

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩২ এএম

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে লাখো মানুষের শপথের বজ্রমুষ্টি উত্থিত হয় আকাশপানে। বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা।

 

 

 

১৯৭১ সালের মার্চ মাসের শুরু থেকেই নানা ঘটনাপ্রবাহ ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। ঘটনাবহুল এ মাসেই বাংলাদেশের জন্ম এবং এ দেশের মানুষের আত্মত্যাগের এক অবিস্মরণীয় মাস। এ মাসের প্রায় প্রতিটি দিন ঐতিহাসিক ঘটনায় উজ্জ্বল। তেমনিভাবে ৭ মার্চের শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য উদ্দীপ্ত করে।

 

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের ভিত রচিত হয়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ লাখো মানুষের গগনবিদারী স্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পতপত করে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত লাল-সবুজের পতাকা।

 

 

২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

৭ মার্চের এই ভাষণ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাসংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে ওঠে।

একাত্তরের এই দিনের উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। এর পরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে।

 

 

 

মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ভাষণে বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব; এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লা। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।