NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ ১৪ বছরের সূর্যবংশীর দানবীয় সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত জয় রাজস্থানের নির্বিঘ্নে ধর্ম পালনে ‘লাব্বাইক’ অ্যাপ বড় ভূমিকা রাখবে - প্রধান উপদেষ্টা ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের হাসিনাকে ‌‘চুপ’ রাখতে বলেন ড. ইউনূস, মোদী জানান পারবেন না নারী বিবেচনায় জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
Logo
logo

পরিবেশের সুরক্ষা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : উপদেষ্টা


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩১ এএম

পরিবেশের সুরক্ষা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : উপদেষ্টা

বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, মাটিদূষণ ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করার আগে পরিবেশের সুরক্ষা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। 

 

তিনি বলেছেন, আমরা যদি শুধু মেট্রোরেল, দ্রুতগতির ট্রেন, ফ্লাইওভার কিংবা বড় অবকাঠামো নিয়ে চিন্তা করি কিন্তু পরিবেশের দিকে মনোযোগ না দিই, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ সংকট তৈরি করব।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৭৫বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের ভাবতে হবে, ঢাকায় বাস করা এত কঠিন কেন? কেন আমরা শান্তভাবে বসে চিন্তা করতে পারি না? শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ, নদীদূষণ ও খাদ্যে ভেজাল— সবকিছুই ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অথচ পরিবেশ নিয়ে অনেক সময় আমরা শুধু সাধারণভাবে ভাবি, বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেই না। এখনই উপযুক্ত সময় দেশকে দূষণমুক্ত করতে সবাই মিলে কাজ করা।

 

তিনি বলেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ এবং আমার কাজের মধ্যে আত্মীয়তা রয়েছে। কারণ, আমি যে বিষয়ে কাজ করি, আপনারা সেই বিষয়েই পড়াশোনা করছেন। কিন্তু আমরা এমন বাস্তবতায় বাস করছি, যেখানে লাউডস্পিকারের উচ্চ শব্দে সারাক্ষণ বিরক্ত হতে হয়। আমাদের এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে শব্দদূষণ সহনীয় মাত্রায় থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগকে পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে প্লাস্টিক দূষণ কমানোর জন্য। পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা ছাড়া একটি সভ্য ও টেকসই সমাজ গঠন সম্ভব নয়।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আমি আশা করি, এখান থেকে যারা পড়াশোনা শেষ করে বের হবেন, তারা দায়িত্বশীল প্রশাসক, করপোরেট কর্মকর্তা বা কর্মী হয়ে পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীল থাকবেন। আপনারা কীভাবে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে সহায়তা করতে পারেন, সে বিষয়ে কোনো পরামর্শ থাকলে আমাকে জানান। আপনাদের মতামত গ্রহণ করে আমরা আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারব।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ গড়তে চাই, যেখানে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। আমি আশা করি, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ আমাদের হতাশ করবে না, বরং দায়িত্বশীল নাগরিক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. সরওয়ার আলম, ৭৫বর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন খান প্রমুখ।