NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

ভারতের ৪ প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা


খবর   প্রকাশিত:  ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম

ভারতের ৪ প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ভারতের চারটি প্রতিষ্ঠানে ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের পেট্রলজাত পণ্য বিক্রি ও পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের চাবাহার শহরে সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করতে তেহরানের সঙ্গে অংশীদারত্ব করছে দিল্লি। ইরান ও আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ মজবুত করার উদ্দেশ্যে বৃহত্তর ভারতীয় কৌশলের অংশ হলো এই পরিকল্পনা।

 

কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন তেহরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ করার বিষয়ে প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম জারি করেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরের আলোচ্যবিষয়ে ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ও ছিল। কিন্তু ‘বন্ধু’ মোদীর কথায় মন গলেনি ট্রাম্পের।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্যমতে, নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ওই চার ভারতীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- ফ্লুক্স মেরিটাইম এলএলপি, বিএসএম মেরিন এলএলপি, অস্টিনশিপ ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ও কসমস লাইনস ইনকরপোরেশন।

 

এই চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কসমস লাইনস ইনকরপোরেশনকে ইরানের পেট্রলজাত পণ্য পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠান ইরানের জ্বালানি তেল ও পেট্রলজাত পণ্য পরিবহনকারী বিভিন্ন নৌযানের বাণিজ্যিক অথবা কারিগরি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তহবিল সংগ্রহের প্রয়োজনে ইরানকে জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই জ্বালানি তেল বিক্রি বাড়াতে নৌযান, পরিবহনকারী ও মধ্যস্থতাকারীদের একটি গোপন নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে যাচ্ছে ইরান।

ইরানকে এসব করতে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে স্কট বেসেন্ট বলেন, ইরানের জ্বালানি তেল সরবরাহব্যবস্থার সব ক্ষেত্রকে লক্ষ্যবস্তু করতে নিজেদের সব সরঞ্জাম কাজে লাগাবে যুক্তরাষ্ট্র। আর যারা ইরানের তেল নিয়ে কাজ করবে, তারাও নিষেধাজ্ঞার উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মুখে পড়বে। কারণ, তেহরানের ওপর বড় পরিসরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

 

ভারতীয় চারটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আরব আমিরাত, হংকং ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ইরানের জ্বালানি তেল বিক্রি ও পরিবহনে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানির প্রধান ও ইরানিয়ান অয়েল টার্মিনালস কোম্পানির বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস