NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

জার্মানির নির্বাচনে রক্ষণশীলদের জয়, রেকর্ড সাফল্য ডানপন্থিদেরও


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:০৭ এএম

জার্মানির নির্বাচনে রক্ষণশীলদের জয়, রেকর্ড সাফল্য ডানপন্থিদেরও

জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মের্জের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীলরা জয়লাভ করেছে। প্রত্যাশিত ৩০ শতাংশ ভোট না পেলেও তারা প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে। উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের উদ্দেশে মের্জ বলেছেন, আজ রাতে আমরা উদযাপন করবো, আর সকাল থেকে কাজ শুরু করবো। তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের কাঁধে বড় দায়িত্ব এসে পড়েছে।

রোববারের (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ নির্বাচনে বড় উত্থান হয়েছে কট্টর ডানপন্থি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি)। ২০ দশমিক ৮ শতাংথ ভোট পেয়ে তারা দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে, যা দলটির জন্য রেকর্ড।

 

এএফডির চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী অ্যালিস ওয়াইডেল সমর্থকদের সঙ্গে বিজয় মিছিল করেছেন। তবে দলটি আরও ভালো ফল আশা করেছিল। তাই তাদের নির্বাচনী কার্যালয়ে কিছুটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

 

সোমবারের প্রথম প্রহরে ভোটের ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, পূর্ব জার্মানির বেশিরভাগ এলাকায় এএফডি ব্যাপকভাবে এগিয়ে রয়েছে। সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম জেডডিএফের সমীক্ষা অনুযায়ী, তারা সেখানে ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে।

অ্যালিস ওয়াইডেল বলেন, জার্মানরা পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ফ্রিডরিখ মের্জের সম্ভাব্য জোট সরকার টিকবে না এবং দ্রুত নতুন নির্বাচন হবে।

রক্ষণশীলদের জন্য চ্যালেঞ্জ

জার্মানির রাজনৈতিক মানচিত্রে দেখা গেছে, পূর্বাঞ্চলে এএফডি আধিপত্য বিস্তার করলেও দেশের অন্যান্য অংশে মূলত রক্ষণশীলদের রং কালো ছড়িয়ে পড়েছে।

 

গত বছর ওলাফ শলৎজের নেতৃত্বাধীন তিন দলীয় জোট ভেঙে পড়ার পর মের্জ একটি শক্তিশালী সরকার গঠনের জন্য জনগণের কাছ থেকে ম্যান্ডেট চেয়েছিলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, চার বছরের মধ্যে দেশের স্থবির অর্থনীতি চাঙা করবেন এবং অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করবেন।

কিন্তু ৮৩ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির মধ্যেও তার দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটস (সিডিইউ) এবং তাদের বাভারিয়ান সহযোগী দল (সিএসইউ) মোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে, যা প্রত্যাশার তুলনায় কম।

এএফডির সঙ্গে জোট নয়

মের্জ এরই মধ্যে এএফডি র সঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। জার্মান রাজনীতিতে কট্টর ডানপন্থিদের সঙ্গে মূলধারার দলগুলোর জোট গঠনে একধরনের ‘অগ্নিপ্রাচীর’ বা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

 

কিন্তু মের্জের জন্য সবচেয়ে সম্ভাব্য জোটসঙ্গী, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এসপিডি), তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করে মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়ে। দলটির নেতা, বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, এই ফলাফলকে ‘তীব্র পরাজয়’ বলে স্বীকার করেছেন এবং তিনি জোট আলোচনায় অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন।

 

এ কারণে দুই দলের জোট সরকার গঠন নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। জার্মানি সম্প্রতি চার বছর ধরে তিন দলীয় জোট সরকার পরিচালনা করেছে। সম্ভাব্য তৃতীয় অংশীদার হতে পারে গ্রিন পার্টি। তবে মের্জ নির্বাচনের আগেই এর নেতা রবার্ট হাবেককে উপহাস করে বলেছেন, তিনি শুধু হিট পাম্পের প্রতিনিধি।

সূত্র: বিবিসি