NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ইরানের চূড়ান্ত নীতি: খামেনি


খবর   প্রকাশিত:  ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৬:২০ পিএম

প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ইরানের চূড়ান্ত নীতি: খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা তাদের চূড়ান্ত নীতি। পেজেশকিয়ান সরকারের ঘোষিত নীতিতেও এই বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং কিছু অগ্রগতিও অর্জিত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি এ ক্ষেত্রে খুবই তৎপর।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আলে সানি ও তার সফরসঙ্গীরা তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

 

ইসলামি বিপ্লবের নেতা আশা প্রকাশ করে বলেন, তেহরানে সম্পাদিত চুক্তিগুলো উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর হবে এবং উভয় পক্ষই তাদের প্রতিবেশীসুলভ দায়িত্ব-কর্তব্য আগের চেয়ে আরও বেশি করে পালন করতে সক্ষম হবে।

আয়াতুল্লাহ খামেনি আঞ্চলিক বিষয়াদি সম্পর্কে কাতারের আমিরের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে আরও বলেন, আমরা কাতারকে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করি, যদিও আমাদের মধ্যে এখনও কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে, যেমন দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কাতারে স্থানান্তরিত ইরানি পাওনা (অর্থ) ফিরে আসেনি। আমরা জানি এ ক্ষেত্রে যেসব সমঝোতা হয়েছিল তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হলো যুক্তরাষ্ট্র।

 

‌ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আমরা কাতারের জায়গায় থাকলে মার্কিন চাপ উপেক্ষা করে ইরানের পাওনা পরিশোধ করতাম। আমরা এখনো কাতারের কাছ থেকে এমন পদক্ষেপ আশা করি।

বৈঠকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আলে সানি ইসলামী বিপ্লবের নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং বিশ্বের নির্যাতিত মানুষ ও ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের দৃঢ় অবস্থানের প্রশংসা করেন। সর্বোচ্চ নেতাকে সম্বোধন করে কাতারের আমির বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে আপনার অবস্থানের কথা চিরদিন মনে থাকবে।

এই অঞ্চলের বিশেষ ও কঠিন পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে কাতারের আমির এমন পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা গড়ে তোলা জরুরি বলে মন্তব্য করেন।

 

শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আলে সানি ইরান ও কাতারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিগুলোর কথাও উল্লেখ করেন, এসব চুক্তির মধ্যে একটি হলো দুই দেশের মধ্যে পানির নিচে টানেল নির্মাণ। কাতারের আমির আরও বলেন, সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে দুই দেশের যৌথ কমিশন শিগগিরই কাজ শুরু করবে এবং অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের অর্থনৈতিক লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

সূত্র: ইরনা নিউজ, পার্সটুডে