NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

যুক্তরাষ্ট্র ইরানিদের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত করছে : পেজেশকিয়ান


খবর   প্রকাশিত:  ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:৩০ এএম

যুক্তরাষ্ট্র ইরানিদের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত করছে : পেজেশকিয়ান

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বৃহস্পতিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তার দেশের জনগণকে মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত করছে। তবে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার সরকার দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপায় খুঁজে বের করবে।

দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর প্রদেশ সফরের সময় নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘কেন আপনারা জনগণের খাদ্য, পানি ও ওষুধে বাধা দিচ্ছেন?’ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বক্তব্যে পেজেশকিয়ান আরো বলেন, ‘তারা আমাদের পথ রুদ্ধ করতে পারবে না, আমরা পথ খুঁজে নেব।’

গত ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে তার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি ফের কার্যকর করেছেন, যা দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের প্রচেষ্টার আশঙ্কাকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে।

তবে তেহরান বরাবরই পরমাণু অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

 


 

চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের তেল চীনে রপ্তানির সঙ্গে জড়িত একটি নেটওয়ার্কের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। এর আগে ট্রাম্প সরকার ইরানের তেল রপ্তানি ‘শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার’ এবং ‘নিষেধাজ্ঞার ছাড়পত্র সংশোধন বা বাতিল করার’ নীতি গ্রহণের নির্দেশ দেয়।

সম্প্রতি ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তির আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন রোধ করা সম্ভব হয় ‘বোমার মাধ্যমে’ বা চুক্তির মাধ্যমে।

ফক্স নিউজকে সোমবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই তাদের সঙ্গে বোমা মেরে নয়, চুক্তির মাধ্যমে সমাধান হোক।’

 

তবে পেজেশকিয়ান এই মন্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, ‘তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় না, তারা চায় আমাদের অপমানিত করতে...আর আমরা তা হতে দেব না। আমরা আমাদের নিজেদের শক্তির ওপর নির্ভর করে অনেক সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম।’


 

২০১৮ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি ফের কার্যকর হলে ইরানি কর্মকর্তারা বারবার এই মনোভাব প্রকাশ করে আসছেন।

তেহরান তখনো যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত চুক্তির শর্ত মেনে চলছিল, কিন্তু ওয়াশিংটন সরে যাওয়ার এক বছর পর ইরানও ধাপে ধাপে তাদের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করতে শুরু করে।

 

ইরানের সব রাষ্ট্রীয় বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শুক্রবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন কোনো আলোচনা হওয়া উচিত নয়। এর আগে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে ‘যাচাইযোগ্য পারমাণবিক শান্তি চুক্তি’ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। খামেনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না।’ এর আগে বুধবার তিনি দেশকে ‘অপদার্থদের’ বিরুদ্ধে রক্ষা করতে সামরিক সক্ষমতা উন্নয়নের আহ্বান জানান।

 

সূত্র : এএফপি