NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

পায়ে হেঁটেই উত্তর গাজায় পৌঁছেছে দুই লাখের বেশি ফিলিস্তিনি


খবর   প্রকাশিত:  ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:০৩ এএম

পায়ে হেঁটেই উত্তর গাজায় পৌঁছেছে দুই লাখের বেশি ফিলিস্তিনি

পায়ে হেঁটে দুই ঘণ্টার মধ্যেই উত্তর গাজায় পৌছে গেছে দুই লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। ইসরায়েল এবং হামাস চলতি সপ্তাহে ছয় জিম্মিকে মুক্ত করার চুক্তিতে পৌঁছানোর পরই ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজায় ফিরতে শুরু করেন। শনিবার ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত নেটজারিম করিডোর অতিক্রম করে গাজায় প্রবেশ করেন।

শনিবার হামাস চার ইসরায়েলি নারী সৈন্যকে মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু ইহুদ নামের এক বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়নি। এ কারণে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে ইসরায়েল। এদিকে ইহুদ এবং অন্য দুই জিম্মিকে বৃহস্পতিবার মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এরপর শনিবার আরও তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হবে।

 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের পর অবশেষে বাড়ি ফেরার সুযোগ পেলেন ফিলিস্তিনিরা।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে পায়ে হেঁটে আল-রশিদ স্ট্রিট এবং সকাল ৯টা থেকে গাড়িতে করে সালাহ আল-দিন স্ট্রিট অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হয়। সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর পরই ফিলিস্তিনিরা পায়ে হেঁটে উত্তর গাজার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। দুই ঘণ্টার মধ্যেই দেখা গেছে দুই লাখের বেশি ফিলিস্তিনি গাজায় প্রবেশ করেছে।

 

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর গাজা। সেখানকার দুই তৃতীয়াংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। পুরো গাজা উপত্যকায় এই হার ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ। গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি।

 

 

ফিলিস্তিনিরা এমন এক সময় নিজেদের বাসভূমিতে ফেরার সুযোগ পেয়েছেন যখন তাদের আর হারানোর কোনো কিছুই বাকি নেই। এখন ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই তাদের আবার ফিরে আসতে হচ্ছে। তারা জানেন না যে সামনের দিনগুলো তাদের কেমন যাবে।