NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, মে ২, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

হাছান মাহমুদ ও পরিবারের ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ


খবর   প্রকাশিত:  ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম

হাছান মাহমুদ ও পরিবারের ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তার পরিবার ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে হাছান মাহমুদের নামে আটটি, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমার ১৪টি, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের ছয়টি, হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্ট তিনটি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের ৩৪টি, মিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংসের ছয়টি, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেডের তিনটি, সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের দুটি ও বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জেএএস লিমিটেডের একটি ব্যাংক হিসাব হয়েছে।

 

এদিন দুদকের উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল এসব হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়, হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নূরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস লিমিটিড, একাডেমি অব মেরিন এডুকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জেএএস লিমিটেড, এমএস বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড এবং সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের নামে ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৭৫৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৯ টাকা লেনদেন হয়েছে।

এই লেনদেনগুলো সন্দেহজনক লেনদেন।

কারণ এই লেনদেনগুলো মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সংগঠিত হয়েছে। যেখানে মানিলন্ডারিং উপাদান থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এ ছাড়া বর্তমানে হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকা জমা রয়েছে।

 

দুদক অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে তাদের ব্যাংকে রক্ষিত টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন।

অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সব সম্পদ উত্তোলন, হস্তান্তর বা মালিকানাস্বত্ব বদল রোধে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।