NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

ফেলানী দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:১৭ এএম

ফেলানী দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুনের ১৪তম মৃত্যু দিবস ছিল ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)। ১৫ বছর বয়সী ফেলানী ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ফেলানীর দেহ সীমান্তরেখা বরাবর কাটাতারের বেড়ায় চার ঘন্টা ধরে ঝুলে থাকলেও বিএসএফ তাকে উদ্ধার করেনি। দিনটি বাংলাদেশে ফেলানী দিবস হিসেবে পরিচিত ও পালিত হয়ে আসছে।

‘ফেলানী দিবস’ উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশীদের সংগঠন ‘প্যাট্রিয়টস অব বাংলাদেশ’ বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সামনে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে। ওই কর্মসূচিতে বিএসএপের নির্বিচারে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা করার তীব্র নিন্দা ও ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের সামনের রাস্তার নামটির নাম ‘ফেলানী সড়ক’ করার দাবী জানানো হয়।

এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি বাংলাদেশ কনস্যুলেটকে দেয়া হয়। কন্যুলেটের পক্ষ থেকে মিনিস্টার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান স্মারকলিপিটি নেন এবং তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌছে দেওয়া হবে বলে জানান।

মানববন্ধনে কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আবদুস সবুর, ‘প্যাট্রিয়টস অব বাংলাদেশ’-এর প্রধান সমন্ময়কারী আবদুল কাদের, সদস্য জুয়েল জাকির, সাংবাদিক চৌধুরী মোহাম্মদ কাজল, মুশফিকুর রহমান, মোহাম্মদ তারিফ ও রাসেল খান বক্তব্য দেন।

সমাবেশে আবদুল কাদের বলেন, ‘ভারত যদিও আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। কিন্তু ভারতীয়রা যেভাবে সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা করছে, এটা সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ হতে পারে না। এটা মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। আমরা আশা করব, ভারত সরকার বিএসএফ-কে সংযত হতে নির্দেশ দেবে।’

তিনি আরো বলেন ‘এত দিন ভারতের তাবেদার ‘আওয়ামী লীগ সরকার’ ফেলানী হত্যার বিচার দাবী করেনি। এখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের সরকার জোরালো ভাষায় ফেলানী হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করবে বলে আমরা আশা করছি।’

আবদুস সবুর বলেন, ‘ফেলানীকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেটা নিঃসন্দেহে মানবতাবিরোধী অপরাধ।’

ফেলানী হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করে তিনি বলেন, ‘ফেলানীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাকে চার ঘন্টা কাটাতারের ওপর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। তখন তার শরীর থেকে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়ছিল। বিএসএফ তাকে উদ্ধার করেনি। মৃত্যুর ১৪ বছর পরও ফেলানী হত্যার বিচার হয়নি।’

জুয়েল জাকির বলেন, ‘বিএসএফ-কে আরও সংযত ও মানবিক হতে হবে। এটা কোন সভ্য বাহিনীর আচরণ হতে পারেনা। একটি ১৫ বছরের কিশোরী নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। কিন্তু বিচার পায়নি। আমরা ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রাস্তাটির নাম ফেলানীর নামে নামকরনের দাবী জানাচ্ছি। এই রাস্তাটির নাম হোক ‘ফেলানী সড়ক’ বা ‘ফেলানী স্ট্রিট’। তাহলে হয়ত তার পরিবার কিছুটা শান্তনা পাবে। বাংলাদেশী হিসেবে দায়বদ্ধতা থেকে আমরা দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ এই দাবী জানাচ্ছি।’

সমাবেশ শেষে চৌধুরী মোহাম্মদ কাজল সংগঠনের পক্ষ থেকে দূতাবাস কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। এ সময় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সিলর ইশরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন।