খবর প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:১৫ এএম
আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে শহীদ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের কাছ থেকে পুরস্কারপ্রাপ্তরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরির মাধ্যমে পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। ক্রিকেটার লিটন দাস জিম্বাবুয়ে থাকায় তার স্ত্রী দেবশ্রী বিশ্বাস সঞ্চিতা পুরস্কার গ্রহণ করেন। শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকী ও ভারত্তোলক মোল্লা সাবিরা সশরীরে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটার শরিফুল ইসলামও জিম্বাবুয়ে অবস্থান করছেন। তার ভাই আশরাফুল ইসলাম পুরস্কার গ্রহণ করেন। সংগঠক হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদিকা নাজমা শামীম।
সংগঠন হিসেবে সেরার স্বীকৃতি পাওয়া বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে পদক গ্রহণ করেন অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। ১৯৮৬ সাল থেকে দেশের হকিতে পৃষ্ঠপোষকতা করা গ্রিন ডেলটা ইনস্যুরেন্স গ্রহণ করে পৃষ্ঠপোষক পুরস্কার।
চার দশকের বেশি সময় ক্রীড়া সাংবাদিকতা করা কাশীনাথ বসাক পেয়েছেন ক্রীড়া সাংবাদিক ক্যাটাগরির পুরস্কার। আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ পেয়েছেন আজীবন সম্মাননার পুরস্কার।
শহীদ শেখ কামাল শুধু ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকই নন সংস্কৃতিপ্রেমীও ছিলেন। আজ সকালে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার অনুষ্ঠানে ওসমানী মিলনায়তনে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠীর কাজী হাবলু শেখ কামালকে নিয়ে স্মরণ করতে গিয়ে বলেন, ‘কামাল ভাই শুধু খেলাধুলা নয়, সংস্কৃতিতেও পারদর্শী ছিলেন।’
শেখ কামালের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাক্রান্ত হয়ে কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘কামাল ভাই বলতেন, ‘আগে কষ্ট কর, পরে পোলাও খাবি’ এটি এখনও মনে পড়ে।’ কামালের স্মরণে কাজী হাবলু এখনও স্পন্দন ও গানের সঙ্গেই রয়েছেন। শেখ কামালকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদও।