NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ, চট্টগ্রামে ১০ কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ


খবর   প্রকাশিত:  ০১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:৪৮ এএম

শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ, চট্টগ্রামে ১০ কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ

মিথ্যা ঘোষণা ও শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ১০ কোটি টাকার বিলাসবহুল মিশন সাফারী গাড়ি জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর পশ্চিম খুলশি রোজ ভ্যালি হাছান টাওয়ার-১ থেকে জব্দ করা হয়।

কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাড়িটির মালিক মো. পারভেজ উদ্দিন। তিনি গাড়ির আমদানি সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

তবে তিনি একটি হলফনামা উপস্থাপন করেন এবং তাতে দেখা যায়, মো. ওসমান গনি মেঘনা সিডস ক্রাসিং লিমিটেডের কাছ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকায় গাড়িটি কেনেন। মেঘনা সিডস ক্রাসিং লিমিটেডের প্রতিনিধির সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তারাও আমদানি/ক্রয় সংক্রান্ত দলিলাদি দিতে ব্যর্থ হন।

 

কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামে উক্ত গাড়িটির (চেসিস নম্বর-JNITANY62Z0025096, ইঞ্জিন নম্বর- VK56140923A, মডেল-২০১৫, সিসি-৫৬০০, কালার-Black, ব্র্যান্ড-NISSAN, SAFARI) শুল্কায়ন সংক্রান্ত দলিলাদি চেয়ে পত্র পাঠানো হলে উক্ত ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বরের বিপরীতে কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়নি। একই সঙ্গে কোনো আমদানি দলিলাদির ভিত্তিতে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে বিআরটিএতে চিঠি পাঠানো হলে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ তা জানাতে পারেনি।

 

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, শুল্ক ফাঁকির প্রাথমিক সন্দেহে গত ১৭ নভেম্বর গাড়িটি জব্দ করে মো. পারভেজ উদ্দিনের জিম্মায় রাখা হয়। পরে আমরা গাড়ির বিষয়ে তদন্ত শুরু করি। তদন্তে দেখা যায়, দলিলাদি ব্যতিরেকে/শুল্ক ফাঁকি দিয়ে/ভিন্নতর উপায়ে/মিথ্যা ঘোষণা/চোরাচালানের মাধ্যমে NISSAN SAFARI গাড়িটি বাংলাদেশে আনা হয়েছে সেটা নিশ্চিত হয়েছি। যা কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ২(২৪), ১৮, ৩৩, ৮১, ৯০-এর আইনের লঙ্ঘন এবং অপরাধ হিসেবে গণ্য।

গাড়িটির মোট আমদানি শুল্ক (৮২৭%) এবং আনুমানিক শুল্ককর ১০ কোটি টাকা। এ অর্থ তারা ফাঁকি দিয়েছে।