পাচারের উদ্দেশ্যে ৩২০টি টারান্টুলা মাকড়সা, ১১০টি বিছা ও ৯টি বুলেট শরীরে বেঁধে পিঁপড়া পেরুর লিমার জর্জ চাভেজ বিমানবন্দরে হাজির হন এক কোরিয়ান। তবে ২৮ বছর বয়সী ওই কোরিয়ান ইমিগ্রেশনে পার হওয়ার সময় ধরা পড়েন। গত ৮ নভেম্বর পেরুর লিমায় এ ঘটনা ঘটে।
পেরুর জাতীয় বন ও বন্য প্রাণী পরিষেবার (এসইআরএফওআর) নভেম্বরে প্রকাশিত একটি বিবৃতি অনুসারে, ওই কোরিয়ান নাগরিকের পেট অস্বাভাবিকভাবে ফুলে ছিল।
এসইআরএফওআর-এর একজন বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ ওয়াল্টার সিলভা বিবৃতিতে ব্যাখ্যা করেছেন, টারান্টুলাগুলো বিপন্ন প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত।
সিলভা বলেন, 'এসব প্রাণী অবৈধভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এটি কোটি কোটি ডলারের বন্য প্রাণী পাচারের অংশ।' পেরুই একমাত্র দক্ষিণ আমেরিকার দেশ নয়, যা বন্য প্রাণী পাচারের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষ বোগোটার এল ডোরাডো বিমানবন্দরে একটি স্যুটকেসে লুকানো অন্তত ২৩২টি ট্যারান্টুলা, ৬৭টি তেলাপোকা, নয়টি মাকড়সার ডিম এবং তার সাতটি বাচ্চাসহ একটি বিচ্ছু জব্দ করেছিল। এবং সেই বছরের সেপ্টেম্বরে কলম্বিয়ার কর্মকর্তারা হংকংয়ে পাচারের জন্য প্রায় তিন হাজার ৫০০ হাঙ্গরের পাখনার একটি চালান বাজেয়াপ্ত করেছিল।