বরোবেকেরা থানার জাকুরাধোর এলাকায় এই গোলাগুলি হয়। এতে যুদ্ধের পোশাক পরা জঙ্গিরা নিহত হয় বলে জানা গেছে। জঙ্গিরা ওই এলাকার মেইতেই গ্রামে পরিত্যক্ত দোকানে আগুন লাগিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে তিন সপ্তাহ ধরে মণিপুরের বিভিন্ন অংশ থেকে বন্দুকযুদ্ধ ও হামলার ঘটনা ঘটছিল।
এবার জিরিবামে গোলাগুলি হলো। ইম্ফল পূর্ব ও বিষ্ণুপুর জেলায় সোমবার সহিংসতায় এক কৃষকসহ দুজন আহত হয়েছেন।
জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (জেএনআইএমএস) চিকিৎসাধীন ইম্ফল ইস্টের নিউ কান্নানের কৃষক কানশোক হোরাম (৩৫) জানান, ইয়াইনগাংপোকপি সান্তি খোংবালের ধানক্ষেতে গিয়ে তিনি আহত হন। তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে আমি একটি গুলির শব্দ শুনতে পাই।
তারা আমাদের উদ্ধার করে।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কানশোকের সাতটি মাল্টিপল প্লেট ইনজুরি রয়েছে। জেএনআইএমএসে রেফার করার আগে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ইয়াইনগাংপোকপির প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তার শরীরে আরো দুটি ছররা গুলি ঢুকে গেছে এবং সেগুলো অপসারণ করা হবে।
ইয়াইনগাংপোকপি পুলিশ স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রাজ্য পুলিশ ও বিএসএফের একটি যৌথ দল গুলির শব্দ শুনতে পায় এবং ১০ মিনিটের বন্দুকযুদ্ধের পর সাত কৃষককে উদ্ধার করে। তিনি আরো বলেন, সম্মিলিত দলটি উয়োক মানিং চিং (উয়োক পার্বত্য অঞ্চল) এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে এবং কৃষকদের ওপর হামলা চালানোর জন্য সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি বাংকার ধ্বংস করে।
অন্য একটি ঘটনায় সোমবার রাত আড়াইটা নাগাদ কুকি অধ্যুষিত এলাকাসংলগ্ন ডাম্পি পাহাড়ি এলাকার জঙ্গিরা বিষ্ণুপুর জেলার সাইটন গ্রামে হামলা চালায়। গ্রামটি বিষ্ণপুর জেলার সীমান্তে এবং পার্শ্ববর্তী চূড়াচাঁদপুর জেলার মধ্যে পড়েছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী হামলা প্রতিহত করলে কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধে এক গ্রাম্য স্বেচ্ছাসেবক আহত হন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস