এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে চতুর্থ টাইফুন ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে। এ পরিস্থিতিতে হাজার হাজার গ্রাম খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্দরগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ সোমবার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
খবর প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:৩১ এএম
এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে চতুর্থ টাইফুন ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে। এ পরিস্থিতিতে হাজার হাজার গ্রাম খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্দরগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ সোমবার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
টাইফুন তোরাজি (স্থানীয়ভাবে ‘নিকা’ নামে পরিচিত) রাজধানী ম্যানিলার প্রায় ২২০ কিলোমিটার (১৪০ মাইল) উত্তর-পূর্বে অরোরা প্রদেশের দিলাসাগ শহরের কাছে এবং দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে আঘাত হেনেছে। এতে হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি বলে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা পিএজিএএসএ জানিয়েছে।
এদিকে সরকার গতকাল রবিবার সকালে দুই হাজার ৫০০টি গ্রাম খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে জাতীয় দুর্যোগ অফিস এখন পর্যন্ত কতজন আশ্রয় নিয়েছে তা বলতে পারেনি।
জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা দেশের উত্তর অঞ্চলজুড়ে প্রচণ্ড বাতাস এবং ভারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে লুজন প্রধান দ্বীপের উপকূলকে বিশাল ঢেউয়ের সতর্কবার্তা দিয়েছে।
সোমবার একটি উপকূলরক্ষীর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৭০০ জন যাত্রী বন্দরে আটকা পড়েছিল। আবহাওয়া পরিষেবা সতর্ক করে জানিয়েছে, সমুদ্রে ভ্রমণ এখন ঝুঁকিপূর্ণ।
চলতি বছরে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তিনটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশটিতে ১৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে মারাত্মক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ট্রামি (স্থানীয় নাম : ক্রিস্টিন) এবং সুপার টাইফুন কং-রে (স্থানীয় নাম : কুইনি) আঘাত হানে। জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা বলেছে, এই সংখ্যার বেশির ভাগ মৃত্যুই ট্রামির কারণে হয়েছে।
প্রতিবছর প্রায় ২০টি বড় ঝড় এবং টাইফুন দ্বীপপুঞ্জের দেশ ফিলিপাইনে বা এর আশপাশের জলে আঘাত হানে। তবে সাম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঝড়গুলো এখন ক্রমবর্ধমানভাবে উপকূলরেখার কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থলে তাণ্ডব চালাচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে।
সূত্র : এএফপি