NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

কারও এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি পড়ে না থাকে : প্রধানমন্ত্রী


খবর   প্রকাশিত:  ০৮ নভেম্বর, ২০২৩, ০৯:৫৮ পিএম

কারও এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি পড়ে না থাকে : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: বাড়ির আঙিনা থেকে শুরু করে যেকোনও খালি জায়গার যথোপযুক্ত ব্যবহারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কারও এক ইঞ্চি জমি যেন খালি পড়ে না থাকে। প্রত্যেকেই কাজ করবে। যেখানেই খালি জায়গা, সেখানেই উৎপাদনে কাজ করবে। আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকেও এটি করতে হবে। পাশাপাশি দেশের মানুষকে এই কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

আজ সোমবার কৃষকলীগের স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমাদান কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি রক্তদানে সক্ষম ব্যক্তিদের রক্ত দেয়া আহ্বান জানান।

উন্নত দেশগুলো যখন হিমশিম খায়, তখন আমরা সাশ্রয়ী হচ্ছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী, এটার অর্থ এই নয়, আমরা লুটপাট করছি। লুটপাট তো বিএনপি করেছে। দেখেছি, বিএনপি নেতারা হারিকেন নিয়ে আন্দোলন করছে। তাদের হাতে হারিকেনই ধরিয়ে দিতে হবে। আর মানুষকে ভালো রাখতে আমরা কাজ করছি। সেটাই করব।

জনসংখ্যা নিয়ে সমালোচনাকারীদের ঈগিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জনসংখ্যা এখন সাড়ে ১৬ কোটি। এই জনসংখ্যার হিসাবও কারও কারও পছন্দ হয় না। কেন? তাহলে তারা নিজেরাই সন্তান জন্ম দিক। আমরা খাবার দেব। আমরা চাই, প্রতিটি পরিবার সুখি সমৃদ্ধ হবে। আমরা সে কাজটি করে যাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর দেশের কী উন্নতি হয়েছে? চলে গেল মার্শাল ল’তে। ক্ষমতা দখল করে কুক্ষিগত করা হলো। তারা ক্ষমতায় এসে পুরো নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করে, ইনডেমনিটি দেয়। জাতির পিতার খুনিদের রক্ষা করে। যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় নিয়ে আসে। স্বাধীনতার চেতনা থেকে দেশকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সব আয়োজন করল। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের চোর ডাকাত বানাল। দেশের মানুষ কী পেল?

প্রকৃত গণতন্ত্র থাকলে দেশের যে উন্নতি হয়, এটা আজ প্রমাণিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ এটা প্রমাণ করে দিয়েছে। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ অবকাঠামো উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেওয়াসহ নানা কাজ করেছি। বলতে গেলে ৯৬ থেকে ২০০১ সমৃদ্ধির সময় ছিল বাংলাদেশের। পরে তারা এসে কী করল? ভিক্ষাবৃত্তি বা দেশকে পরনির্ভরশীল করেছে। দুর্নীতি, খুন-খারাবি আর লুটপাট ছিল স্বাভাবিক চিত্র। ভোটের অধিকারই ছিল না মানুষের। বিএনপির সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়েছে। তাদের কাছ থেকেও কথা শুনতে হয়। নির্বাচনের কথা তারা বলে কোন মুখে?

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল। ভবিষ্যতে যেন আর কেউ এমন ছিনিমিনি খেলতে না পারে।

কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।