NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমের নামে মামলা


খবর   প্রকাশিত:  ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম

অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমের নামে মামলা

চলতি বছরের ২৪ আগস্ট চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি। মামলার আরো দুই আসামি হলেন আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম ও জাহিদুল ইসলাম আপন।

প্রযোজক সিমি দাবি করেন, তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন। বিষয়টি নিয়ে চলতি বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখ লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি।

সাধারণ ডায়েরি ও প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে সুরাহার চেষ্টা করলেও সমাধান পাননি তিনি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

 

জানা গেছে, অপু বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেলগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন জাহিদুল ইসলাম। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গেল বছর আগস্টে সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম।

এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও ফিরিয়ে দেননি অপু বিশ্বাস। তাই বাধ্য হয়ে লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি। যেখানে আসামি করা হয় অপু ও জাহিদুলকে।

 

বিষয়টি জানতে পেরে সমাধান করার আশ্বাস মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম।

এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বাদীর কাছে। বলা হয়, অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে।

 

দর-কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন বাদী সিমি ইসলাম। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তারা। কিন্তু বাদী দেখতে পান, ইউটিউব চ্যানেলে থাকা তার ভিডিওগুলো নেই।

 

বিষয়টি অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান সিমি। কিন্তু তারা ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে কালক্ষেপণ করেন। বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতেও কথা বলা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিমি।

মামলা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে সিমি ইসলাম বলেন, ইউটিউব চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বহুদিন অপুর কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমি খসরু (প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু) ভাইকেও বলেছি। সে-ও আমার হয়ে অপুর সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু তার কথাও সে রাখেনি।

তিনি আরো বলেন, ‘একদিন হিরো আলম আমাকে ফোন করে বলে, আমি রাজি হলে অপুর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে দেবেন। আমার মনে হয়, অপুই তাকে ফোন দিতে বলেছেন আমাকে। এরপর টাকার বিনিময়ে চ্যানেলটি ফিরে পেলেও ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি হিরো আলমকে জানালে তিনি বলেন, দেখছি কী করা যায়। এরপর আর কোনো খবর নেই।’