NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
Logo
logo

কলেজের অধ্যাপিকাকে বিয়ে করলেন ডিগ্রি পড়ুয়া ছাত্র!


খবর   প্রকাশিত:  ০৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:০৯ এএম

কলেজের অধ্যাপিকাকে বিয়ে করলেন ডিগ্রি পড়ুয়া ছাত্র!

 

অমর ডি কস্তা, নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে খাইরুন নাহার (৪২) নামে কলেজের এক সহকারী অধ্যাপিকাকে বিয়ে করেছেন ডিগ্রি ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত মামুন হোসেন (২২) নামের এক কলেজছাত্র। তারা এখন সুখে-শান্তিতে সংসারও করছেন। তবে এ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ।

খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা ও মামুন হোসেন নাটোর এন এস সরকারী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাদের উভয়েরই বাড়ি গুরুদাসপুরে। গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা এবং  বিয়ের ৭ মাস পর সম্প্রতি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। ফেসবুকে পরিচয় ও অতঃপর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর তারা দু'জনে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকা-ছাত্র দম্পতি। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছর খানেক আগে  ফেসবুকে অধ্যাপিকা খাইরুন নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ৭ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার এখনও এই বিয়ে মেনে নেননি। বর্তমানে নাটোর শহরের একটি ভাড়া বাসায় দুজনে বসবাস করছেন। এর আগে ওই শিক্ষিকা প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশিদিন টিকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে একজন সন্তান রয়েছে বলেও জানা গেছে।

জানতে চাইলে খাইরুন নাহার বলেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলাম। সেই সময় ফেসবুকে মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর আমাদের দুজনের বন্ধুত্ব ও  ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। তারপর দুজনের সিদ্ধান্তে বিয়ে করি। সমাজে কে কী বলে, তা বড় বিষয় না। আমরা যদি দুজন ঠিক থাকি, তাহলে সব ঠিক। আমার পরিবার থেকে সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তবে তার (মামুন এর) বাড়ি থেকে আমাদের বিয়ে মেনে নিয়েছে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি অনেক সুখে আছি। সারাজীবন তার সঙ্গে এভাবে থাকতে চাই। দোয়া করবেন সবাই।

মামুন হোসেন বলেন, ভালোবাসা জাত-কুল-বয়স-বর্ণ বোঝে না। ভালোবাসি বলেই আজ আমরা এই চিরবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।  আমার বাবা-মা হাসি মুখে এ বিয়ে মেনে নিয়েছেন। আমরা নিজেদের মতো করে সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছি। আমৃত্যু এভাবে সুখে থাকতে চাই।  আপনারা সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।