NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
তরুণদের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা ভারতের হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বললেন ট্রাম্প পাকিস্তানে ভারতের হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৮, আহত ৩৫ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার মিলান শাহরুখ-প্রিয়াঙ্কার সেই সিনেমা ও সম্পর্ক আবারও আলোচনায় ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি
Logo
logo

অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ অধ্যাপক


খবর   প্রকাশিত:  ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:২১ এএম

অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ৩ অধ্যাপক

২০২৪ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিন অধ্যাপক। রয়াল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার পর তাদের নাম ঘোষণা করে। পুরস্কার বিজয়ী তিনজন হলেন তুর্কি-আমেরিকান ড্যারন আসেমোগ্লু, ব্রিটিশ-আমেরিকান সাইমন জনসন ও জেমস এ. রবিনসন।

বিচারকমণ্ডলী জানিয়েছেন, ইউরোপীয় উপনিবেশকারীদের গঠিত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাগুলো বিশ্লেষণ করে এই তিনজন গবেষক প্রতিষ্ঠান ও সমৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক প্রমাণ করতে পেরেছেন।

তাই তাদের হাতে যচ্ছে এবারের অর্থনীতির নোবেল।  

 

অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাকব সুইনসন বলেন, 'দেশগুলোর আয়ের বিশাল ব্যবধান কমানো আমাদের সময়ের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। নোবেলজয়ীরা দেখিয়েছেন, এই লক্ষ্যে পৌঁছতে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।'  

৫৭ বছর বয়সী আসেমোগ্লু ও ৬১ বছর বয়সী জনসন দুজনই—ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

অন্যদিকে ৬৪ বছর বয়সী রবিনসন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।  

 

বিচারকমণ্ডলী নোবেলজয়ীদের গবেষণার উল্লেখ করে জানান, কেন কিছু দেশ সমৃদ্ধ হয়, আর কিছু দেশ পিছিয়ে থাকে, এর পেছনে সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কতটা গভীর তা এই অধ্যাপরের কাজে উঠে এসেছে।

পুরস্কার ঘোষণার সময় ফোনে এক সাংবাদিককে আসেমোগ্লু বলেন, 'আমি খুবই আনন্দিত। এটা একেবারে অপ্রত্যাশিত ও দারুণ খবর।

'

 

অর্থনীতির নোবেল মূল পাঁচটি নোবেল পুরস্কারের অন্তর্ভুক্ত নয়, যা সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৬ সালে মৃত্যুর পর তার উইলের ভিত্তিতে প্রবর্তিত হয়েছিল। এটি ১৯৬৮ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুদানে চালু হয়, যার কারণে সমালোচকরা একে 'মিথ্যা নোবেল' বলে অভিহিত করেন। তবে অন্যান্য নোবেল বিজ্ঞান পুরস্কারের মতোই রয়াল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস বিজয়ী নির্ধারণ করে এবং একই নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে থাকে।

এদিকে এই অর্থনীতির পুরস্কার দিয়ে এ বছরের নোবেল মৌসুম শেষ হলো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে অর্জনের জন্য পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিল এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে জাপানি সংগঠন নিহোন হিদানক্যো, যারা পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী আন্দোলনে নিবেদিত।

এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন। এ বছর এখন পর্যন্ত হানই একমাত্র নারী বিজয়ী। একই সঙ্গে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নোবেল প্রদান করা হয়েছে জিন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য।  

 

নোবেল পুরস্কার বিজয়ীরা একটি ডিপ্লোমা, স্বর্ণপদক ও এক মিলিয়ন ডলারের অর্থমূল্য পাবেন। পুরস্কারগুলো ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্টকহোম ও অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে।

সূত্র : এএফপি