যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ‘মানসিক প্রতিবন্ধী’ আখ্যা দিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য উইসকনসিনে এক ভাষণে তিনি বলেছেন, নিজের বাড়িতে সাধারণ আমেরিকানদের গলা কাটতে তৎপর হয়েছে অবৈধ অভিবাসীরা।
গত শুক্রবার কমলা যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত সফরকালে অভিবাসন ব্যবস্থা সংস্কার এবং সীমান্ত ইস্যুতে কঠোর হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এর এক দিন পর এমন মন্তব্য করলেন ট্রাম্প।
জনমত জরিপ অনুযায়ী, অভিবাসন ইস্যু কমলার সবচেয়ে দুর্বল দিক। এই ইস্যুতে বেশির ভাগ আমেরিকান ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সীমান্ত ইস্যুতে দেওয়া কমলার ভাষণ প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্প বলেন, সহিংস অপরাধীদের আগ্রাসনের দায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কমলার।
ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক সরকারি কৌঁসুলি কমলাকে ‘নির্বোধ’ আখ্যা দিয়ে ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প বলেন, জো বাইডেন মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছেন।
কমলাও সেভাবে জন্মেছেন। আপনি যদি বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেন, শুধু একজন মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিই আমাদের দেশে এমন কিছু (অবৈধ অভিবাসী অনুপ্রবেশ) ঘটতে দিতে পারেন। এদিকে গত শনিবার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ফ্রানসিসকোতে তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে কমলা বলেন, বছরের পর বছর ধরে সেই পুরনো গানই শুনিয়ে আসছেন ট্রাম্প। এই নির্বাচন দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির নির্বাচন এবং নির্বাচনী প্রচারণায় সেই বৈসাদৃশ্য আমরা দেখতে পেয়েছি।
অন্যদিকে অভিবাসীদের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, তাঁরা আপনাদের রান্নাঘরে ঢুকে আপনাদের গলা কাটবে। অভিবাসীদের আগমনে আমেরিকার ছোট শহরগুলো আতঙ্কিত। এমনকি অভিবাসীরা আসার আগেই আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। এই অবৈধ অভিবাসীরা ধর্ষণ, লুট, চুরি ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষকে হত্যা করবে। অবৈধ অভিবাসীদের পশুর সঙ্গে তুলনা করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা সংখ্যালঘু ও শ্রমিক সংঘের কর্মীদের চাকরি কেড়ে নেবে।
মার্কিন নাগরিকরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় যে ধরনের ভাষণ শুনে অভ্যস্ত, তা থেকে ট্রাম্পের ভাষণ যে পুরোপুরি ভিন্ন, তা তিনিও জানেন। ভাষণের এক পর্যায়ে ট্রাম্প বলেন, এটা কি দুর্দান্ত ও অনুপ্রেরণামূলক ভাষণ নয়? এটা একটা কালো ভাষণ।
সূত্র : এএফপি