খবর প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৩:১১ পিএম
সিনিয়র জাতীয় ব্যাডমিন্টনে প্রথম খেলছেন খন্দকার আবদুস সোয়াদ। অভিষেক আসরেই বাজিমাত করেছেন পাবনার এই শাটলার। ৩৭তম জাতীয় ব্যাডমিন্টনের সমাপনী দিনে তাই তাকে নিয়েই আলোচনা। এর পাশাপাশি আলো কেড়েছেন উর্মি আক্তার। এককের পর দ্বৈত বিভাগেও তিনি শিরোপা জিতেছেন।
এককের ফাইনালে উর্মি তার সতীর্থ নাসিমা খাতুনকে ২৬-২৪ ও ২১-১৯ সেট পয়েন্টে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেন। দ্বৈতে রেশমাকে সঙ্গে নিয়ে সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আনসারের এলিনা সুলতানা ও শাপলা আক্তারকে ২-১ সেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন।
উর্মি আক্তার বাংলাদেশ গেমসে এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তবে সেই আসরে মাতৃত্বের জন্য অংশ নেননি দুই তারকা শাটলার এলিনা সুলতানা ও শাপলা আক্তার। এবার দুই তারকা শাটলার এসেছেন। তাদের উপস্থিতিতেই এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় উর্মির আনন্দটা একটু বেশি, ‘বাংলাদেশ গেমসে তারা ছিলেন না। এবার আপুরা এসেছেন এবং আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। ফলে একটু বেশি আনন্দ লাগছে।’
শাপলা এবং এলিনা দ্বৈতে জুটি ছিলেন। সেই জুটিকে হারিয়ে উর্মি এবং রেশমা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিয়ে এবং মাতৃত্বের পর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পাওয়াটা কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখেই মনে করেন উর্মি, ‘তাদের জন্য ফিরে আসাটা বেশ কঠিনই হবে। তবে আল্লাহই ভালো জানেন কে কখন সেরা হবেন।’
উর্মি এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর অনুশীলনের মধ্যে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি নিয়েছেন এই শাটলার।
পুরুষ এককে পুলিশের খন্দকার আবদুস সোয়াদ ২১-১৫ ও ২১-১৩ সেট পয়েন্টে সেনাবাহিনীর আল আমিন ঝুমারকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেন। গত বছর বাংলাদেশ গেমসে অংশ নিয়েছিলেন এই শাটলার। সেই আসরে ব্যক্তিগত এককে তৃতীয় হয়েছিলেন তিনি।
ফেডারেশনের আয়োজিত জাতীয় সিনিয়র এবারই প্রথম খেলেছেন সোয়াদ। প্রথম খেলেই শিরোপা জিতে বেশ উচ্ছ্বসিত এই তরুণ শাটলার, ‘গত তিন বছর ধরে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়নি। এই সময়ে নিজেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল সিনিয়র খেলার। চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে ভালো লাগছে।’ সিনিয়রে শ্রেষ্ঠত্ব প্রথম হলেও জুনিয়রে বেশ কিছু সাফল্য রয়েছে তার।
অনার্স প্রথম বর্ষে আশুলিয়া ক্যাম্পাসে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ পুলিশের হয়ে চুক্তির ভিত্তিতে খেলেছেন। ব্যাডমিন্টনে আসার গল্পটা বললেন এভাবে, ‘পাবনার চাটমোহরে বাসার পাশে ছোটবেলা থেকে ব্যাডমিন্টন খেলি। স্কুল ও জেলা পর্যায়ে টুর্নামেন্ট খেলে ভালো করার পর ব্যাডমিন্টনে মনোযোগ বাড়ে।’ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দেশের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পদক অর্জনের স্বপ্ন দেখেন এই শাটলার।
এছাড়াও পুরুষ দ্বৈতে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম হারান নিশান উদ্দিন ও নাজমুল ইসলামকে। মিশ্র দ্বৈতে শাপলা আক্তার শুরুতেই ইনজুরিতে পড়ায় আল আমিন ও বৃষ্টি খাতুন জুটিকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি। এ সময় ফেডারেশনের সভাপতি ও তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক উপস্থিত ছিলেন।