NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভ্যাটিকানের উদ্দেশ্যে কাতার ত্যাগ করলেন প্রধান উপদেষ্টা সৌদির কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তি শিগগির হৃদয়কে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ‘হাস্যকর’ বললেন তামিম পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
Logo
logo

রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের


খবর   প্রকাশিত:  ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম

রাশিয়ার সরকারি টেলিভিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করছে রাশিয়ার সরকারি টিভি। সম্পাদকসহ অনেকের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, আরটি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত ১০ জন ও দুইটি সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে আর টিভির প্রধান সম্পাদক, সহকারী প্রধান সম্পাদকও আছেন।

 

ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, ‘আমাদের দেশের সংস্থার ওপর থেকে যাতে মানুষের আস্থা চলে যায়, সেজন্য সরকারি মদতে মিথ্যা প্রচার চলছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এই ব্যবস্থা নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা এই ধরনের প্রচারের পিছনে যারা আছে, তাদের দায়বদ্ধ করবে।’

সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্তরা যুক্তরাষ্ট্রের মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য সামাজিক মাধ্যমে প্রভাবশালীদের নিয়োগ করেছিলেন। তাদের মাধ্যমে তারা ক্রেমলিনপন্থি বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছিলেন।

 

অ্যাটর্নি জেনারেল গারল্যান্ড জানিয়েছেন, ‘রাশিয়ার আরটি নেটওয়ার্কের দুইজন কর্মী নিউ ইয়র্কে বিদেশি মুদ্রা আইন এবং বিদেশি এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন আইন ভাঙার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন।’

তিনি বলেছেন, ওই দুই অভিযুক্ত টেনেসি-ভিত্তিক একটি কোম্পানিকে অর্থ দিয়েছিল। রাশিয়ার পক্ষে প্রচার চালানোর জন্য এই অর্থ দেয়া হয়। ওই কম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক মাধ্যমের ইনফ্লুয়েন্সারদের দিয়ে এই প্রচার চালাবে বলে ঠিক হয়।

 

সরকার জানিয়েছে, এরপর ওই সংস্থা প্রায় দুই হাজার ভিডিও বানায়। অভিবাসন, মুদ্রাস্ফীতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে। নভেম্বর থেকে এক কোটি ৬০ লাখ বার সেই ভিডিও দেখেছেন মানুষ।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন আরটি নেটওয়ার্কের এই কাজের কথা জানতেন। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস পুটিনই এই নির্দেশ দিয়েছেন।

 

মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথমবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করল এমন নয়। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালেও রাশিয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুকূলেভোটদাতাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল।

২০১৬ সালের ভোটেও রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল বলে মার্কিন গোয়েন্দারা মনে করেন। সেখানেও তারা ট্রাম্পের পক্ষেই ছিল বলে তারা মনে করছেন। পরে ট্রাম্পের টিমের সঙ্গে রাশিয়ার বেআইনি আঁতাত নিয়ে তদন্তও হয়।  কিন্তু সেই তদন্তে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।