NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

লিটনের সেঞ্চুরির পর শেষ বিকেলে হাসানের ২ উইকেট


খবর   প্রকাশিত:  ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০২:২২ পিএম

লিটনের সেঞ্চুরির পর শেষ বিকেলে হাসানের ২ উইকেট

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে অবিশ্বাস্য এক সেঞ্চুরি করেছেন লিটন দাস। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করেই পাকিস্তানকে দারুণ জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ। ১৩৮ রান করে যখন ফিরলেন তখন পুরো ড্রেসিংরুমে হাত তালি দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছিল লিটনকে।

তবে মাঠ ছাড়ার সময় লিটনের মুখে ছিল না হাসি, হতাশা ফুটে উঠেছিল তার চোখে-মুখে।

এই হতাশ হয়তো বাংলাদেশকে লিড এনে দিতে না পারার কারণে। তবে প্রথম ইনিংসে যা করেছেন তা এককথায় অবিশ্বাস্য। বাংলাদেশ ১০০ রান করতে পারবে কি না যখন এই শঙ্কা জেগেছিল তখন দলকে ২৬২ রানের সংগ্রহ এনে দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস স্পর্শ করতে বাংলাদেশের আর ১২ রান প্রয়োজন ছিল।

 

খুররম শেহজাদ ও মীর হামজার তোপে বাংলাদেশ ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। প্রতিপক্ষের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়ে তখন বেশ হাসিখুশি ছিল পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের সেই হাসি দ্রুতই কেড়ে নিয়েছেন লিটন-মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনে মিলে সপ্তম উইকেটে ১৬৫ রানের অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়েন।

সেই জুটিতে ভর করেই পাকিস্তানকে জবাব দেয় বাংলাদেশ। 

 

এই জুটি গড়ার পথে টেস্ট ইতিহাসে একটা বিশ্বরেকর্ডও গড়েছন মিরাজ-লিটন। ১৪৭ বছরের ইতিহাসে ৫০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারিয়ে সপ্তম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের। ভারতের বিপক্ষে ২০০৬ সালে করাচি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছিল পাকিস্তান তখন সপ্তম উইকেটে ১১৫ রানের জুটি গড়েন আব্দুল রাজ্জাক ও কামরান আকমল।

 

প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে ৫ উইকেট নেওয়া মিরাজ ব্যাটিংটাও করেছেন দুর্দান্ত। ৭৮ রানের ইনিংস খেলা এই অলরাউন্ডারই পাকিস্তানের বোলারদের ওপর প্রথম চড়াও হন। পরে লিটনের সঙ্গে দুজনে শাসন করেছেন পাকিস্তানি বোলারদের। মিরাজ বিদায়ের পর একাই রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে লড়েছেন লিটন। নবম উইকেটে অবশ্য তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। বোলিংটা মূল কাজ হলেও আজ লিটনকে দুর্দান্ত সঙ্গ দিয়েছেন এই পেসার। দুজনে মিলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। জুটিতে হাসানের অবদান ১৩ রান হলেও তার ৫১ বলের ইনিংসটি ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিয়েছে।


 

হাসানের এমন দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ের জন্যই ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়েছেন লিটন। পাকিস্তানের মাঠে বাংলাদেশের হয়ে একাধিক সেঞ্চুরি করা একমাত্র ব্যাটার তিনি (২টা)। লিটনের ১৩ চার ৪ ছক্কায় সাজানো ১৩৮ রানের ইনিংসেই এখন পাকিস্তানের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়ছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন খুররম। আর দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হামজা ও সালমান আগা।

১২ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৭ রানে আবদুল্লাহ শফিককে আউট করেছেন হাসান। ব্যক্তিগত ৩ রানে শফিককে উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন হাসান। পরে নাইট ওয়াচম্যান খুররমকে শূন্য রানে ফিরিয়ে তৃতীয় দিনটার শেষটা বাংলাদেশের করেছেন হাসান। দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৯ রানে ২ উইকেট। ২১ রানের লিড নিয়ে আগামীকাল চতুর্থ দিন শুরু করবে পাকিস্তান।