NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, জুন ৮, ২০২৫ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Logo
logo

বন্যায় বিদ্যুৎহীন ১১ লাখ গ্রাহক


খবর   প্রকাশিত:  ২৪ আগস্ট, ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম

বন্যায় বিদ্যুৎহীন ১১ লাখ গ্রাহক

পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে দেশের ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লা, কক্সবাজার, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ওঠায়, বৈদ্যুতিক মিটার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ও খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (আরইবি) ও বন্যাকবলিত এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর কর্মকর্তারা জানান, বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১১ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে ফেনীতে পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে আরো এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারে। এখন পর্যন্ত আরইবির আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সাত কোটি ৯৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

 

জানতে চাইলে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ওএন্ডএম) আকাশ কুসুম বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ফেনীতে ভয়াবহ বন্যার কারণে আমাদের ১৩টি সাবস্টশনের সবকটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে চার লাখ ৪১ হাজার ৫৪৬ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন।

 

জানতে চাইলে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জিএম মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের এই সমিতিতে প্রায় আড়াই লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এখন আমাদের অফিসের ভেতরেও কোমর সমান পানি রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই সবকটি লাইন চালু করা হবে।’

লক্ষীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমাদের বিতরণ এলাকায় কিছু সঞ্চালন লাইন ও খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ৪০ হাজারের মতো গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।

 

জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘মিটারে পানি উঠায় এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ১৫ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।’

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘কিছু এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ৪২ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সিলেট, কুমিল্লাসহ দেশের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। বন্যা পরিস্থিতির কারণে এই বিতরণ কম্পানিরও অনেক গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।’

বিপিডিবির সদস্য (বিতরণ) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘বন্যার কারণে বিপিডিবির কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি উপকেন্দ্রে পানি উঠেছে।

সেখানে ট্রান্সমিটার পানি স্পর্শ করেছে। ঝুঁকি এড়াতে ওই উপকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বিপিডিবির আওতাধীন এখন পর্যন্ত অন্যান্য উপকেন্দ্রগুলো সুরক্ষিত। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একটি বন্ধ থাকলেও অন্যটির সঙ্গে ফিডার সংযুক্ত করে দিলে পুনরায় বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’