NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

জম্মু-কাশ্মীরে ১০ বছর পর বিধানসভা ভোট, যেভাবে চলছে উপত্যকা


খবর   প্রকাশিত:  ১৮ আগস্ট, ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম

জম্মু-কাশ্মীরে ১০ বছর পর বিধানসভা ভোট, যেভাবে চলছে উপত্যকা

২০১৮ সালে সরকার পতনের পর থেকে ২০২৪ সালে নির্বাচনের ঘোষণা—মাঝে কেটেছে দীর্ঘ পাঁচ বছর। ১০ বছর পর বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকায়। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচিত সরকার ছাড়া কিভাবে চলছে অঞ্চলটি?

দেশটির নির্বাচন কমিশন শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তিনটি ধাপে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটিতে। প্রথম দফার ভোট হবে ১৮ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর এবং শেষ দফার ভোট হবে ১ অক্টোবর।

আগামী ৪ অক্টোবর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

 

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রথম দফায় ২৪টি আসনে, দ্বিতীয় দফায় ২৬টি এবং শেষ দফায় ৪০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। শেষ নির্বাচনে ৮৭টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল। এর মধ্যে চারটি আসন ছিল লাদাখের।

কিন্তু ৩৭০ ধারা অপসারণের পর থেকে লাদাখও কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ফলে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা আসনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯০।

 


 

২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করেছিল নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকার। সাবেক জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে ভাগ করা হয়েছিল।

২০১৮ সালে বিধানসভা ভাঙার পর সেখানে জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরসংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেন রাষ্ট্রপতি। এর মাধ্যমে সংবিধানে ৩৬৭(৪) নম্বর অনুচ্ছেদ যোগ করা হয়। ফলে সংবিধানের ৩৭০(৩) নম্বর ধারায় ‘রাজ্যের সংবিধান সভা’র বদলে ‘রাজ্যের বিধানসভা’ শব্দটি যোগ হয়। সেদিনই সংসদে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ ও জম্মু-কাশ্মীর ভাগের বিল পাস হয়।
পরের দিন রাষ্ট্রপতি জানান, এখন থেকে ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ আর কার্যকর হবে না।

 


 

এদিকে ছয় বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই। শেষ নির্বাচনের পর সেখানে বিজেপি ও পিডিপির জোট সরকার ছিল। ২০১৮ সালে পিডিপির সঙ্গে জোট ভাঙে বিজেপি। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলো তখন থেকেই রাজ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সরকারের পতনের পর সেখানে রাজ্যপালের শাসন কায়েম হয়। ২০১৮ সালের নভেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা ভেঙে দেন তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। ছয় মাস রাজ্যপাল শাসন চলার পর শুরু হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। এখনো জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসনই চলছে।

৩৭০ ধারা অপসারণের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বিধানসভা নির্বাচনের পরে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে। এই প্রতিশ্রুতির স্মৃতি বুকে নিয়ে আগামী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে উপত্যকার মানুষ।